শবেবরাতে যারা মহান আল্লাহর কাছে ক্ষমা, দয়া, রিজিক ইত্যাদি চাইবে তাদের চাওয়া পূরণ করা হবে। তবে এ রাতে মুশরিক ও হিংসুককে খাঁটি তাওবা না করলে ক্ষমা করা হবে না, তাদের চাহিদাও পূরণ করা হবে না। নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ মধ্য শাবানের রাতে (বিশেষভাবে) আত্মপ্রকাশ করেন এবং মুশরিক ও হিংসুক ব্যতীত তাঁর সৃষ্টির সবাইকে ক্ষমা করেন। ’ (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ১৩৯০)
কারো ভালো কিছু বা উন্নতি দেখে তার বিলুপ্তি কামনাকে বলা হয় হাসাদ বা হিংসা, যা জায়েজ নয়।
নবীজি (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা পরস্পর বিদ্বেষ পোষণ কোরো না। হিংসা কোরো না। ষড়যন্ত্র কোরো না। সম্পর্ক ছিন্ন কোরো না।
তোমরা সবাই আল্লাহর বান্দা ও ভাই ভাই হয়ে যাও। ’ (বুখারি, হাদিস : ৬০৭৬)
তবে কারো ভালো কিছু বা উন্নতি দেখে তার বিলুপ্তি কামনা না করে নিজেও তা অর্জনের চেষ্টা করাকে বলা হয় গিবতা বা ঈর্ষা, যার উৎসাহ দেওয়া হয়েছে।
ইবলিস শয়তান হিংসা ও অহংকারের কারণে আদম (আ.)-কে সেজদা না করে বিতাড়িত হয়েছে। আদমপুত্র হাবিলের কোরবানি কবুল হওয়ায়, হিংসাবশত কাবিল তাঁকে খুন করে প্রথম অন্যায় খুনকারী হয়েছে।
ইউসুফ (আ.)-এর ভাইয়েরা হিংসা করে তাঁকে কূপে ফেলে নিন্দার পাত্র হয়েছে। এ ছাড়া অসংখ্য-অগণিত মানুষ হিংসার রোগে আক্রান্ত হয়ে নানা অপরাধে জড়িয়েছে-জড়াচ্ছে।
মুনাফিকের স্বভাব হিংসা করা। হিংসার কারণে তারা ঈমানদারদের উন্নতিতে নাখোশ হয়। ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমাদের (ঈমানদারদের) কোনো কল্যাণ হলে তারা অসন্তুষ্ট হয়।
আর তোমাদের কোনো অকল্যাণ হলে তারা আনন্দিত হয়। ’ (সুরা আলে ইমরান, আয়াত : ১২০)
প্রকৃত মুমিনের স্বভাব—অন্যের কল্যাণ কামনা করা, অকল্যাণ কামনা থেকে বিরত থাকা। নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘তোমাদের কেউ প্রকৃত মুমিন হতে পারবে না, যতক্ষণ না সে তার ভাইয়ের জন্য সেটাই পছন্দ করবে, যা তার নিজের জন্য পছন্দ করে। ’ (বুখারি, হাদিস : ১৩)