কাশিপুরে ৩য় শ্রেণীর শিক্ষার্থী শিমাকে ধর্ষণের পর হত্যা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শিমা কাশিপুর ২ নং ইউনিয়নের গণপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও সংরক্ষিত কাউন্সিলার রাশিদা বেগমের বাড়ীর ভাড়াটিয়া।
গতকাল গণপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২শ গজ পিছনে হাওলাদার বাড়ীর পারিবারিক গোরস্থান থেকে বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে বস্তাভর্তি শিমার লাশ উদ্ধার করে এয়ারপোর্ট থানা পুলিশ। স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোসামৎ লিমা আক্তার জানান, স্কুলের ৩য় শ্রেণীর শিক্ষার্থী শিমা আক্তার। রোল নং ২৫। তিনি আরো জানান, একই ক্লাসে পড়য়া শিমার ভাই আবু সায়েম ও স্কুলের অন্যান্য শিক্ষার্থীরা তাকে জানিয়েছেন গত সোমবার শিমা আক্তার টিফিন পিরিয়ডে পার্শ্ববতী দোকানে বসা ছিলেন। এর পরে আর শিমা স্কুলে আসেননি।
শিমার ভাই আবু সায়েম বাড়ীতের গিয়ে বোনকে না দেখে মায়ের কাছে বলেন শিমা লেইজারের সময় ক্লাস থেকে বের হয়েছেন এরপরে আর ক্লাসে ফিরে নাই। শিমার মা স্কুলে এবং বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখোঁজি করে শিমাকে না পেয়ে স্কুলের পক্ষ থেকে বরিশাল এয়াপোর্ট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। গতকাল স্কুলের মাত্র ২শ গজ দূর থেকে শিমার বস্তা বন্দি লাশ স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে থানা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঘটনাস্থাল থেকে লাশ উদ্বার করে বরিশাল শের- ই- বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে ময়না তদন্ত করার জন্য প্রেরণ করেন। এদিকে এয়ারপোর্ট থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ধর্ষণ করে হত্যার অভিযোগে স্কুল সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা কালু ও পারভেজ নামে দুইজনকে আটক করেছেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
আজ শিমা হত্যাকারীদের বিচারের দাবীতে কাশিপুর গণপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করবেন বলে জানান স্কুলের প্রধান শিক্ষক লিমা আক্তার। এদিকে স্কুলের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে স্থানীয় এবং স্কুলের একাধিক শিক্ষার্থীরা জানান, কোন শিক্ষার্থীকে স্কুলের টয়লেট ব্যবহার করতে দেওয়া হয় না। স্কুলের টয়লেট তালা দিয়ে রাখে শিক্ষকরা। স্কুলের পাশে জনাজীর্ন টয়লেট ব্যবহার করার জন্য শিক্ষার্থীদের পাঠান। টয়লেট ব্যবহারের উপযুক্ত না বিধায় মেয়ে শিক্ষার্থীরা স্কুলের পার্শবত্বি বিভিন্ন বাড়িতে গিয়ে যেতে হয় আর প্রতিনিয়ত মেয়ে শিক্ষার্থীরা যৌনহয়রানীর শিকার হয়ে আসছেন।
স্থানীয় এবং স্কুলের একাধিক অভিভাবকদের দাবী, শিক্ষকদের খামখেয়ালিপনার কারনেই শিমা প্রতিদিনের নেয় সোমবারও টিফিন পিরিয়ডের বিরতির সময় পাশ্ববর্তী বাড়িতে বাথরুমে যাওয়ার কারনেই আজ এই হত্যাকান্ড ঘটনা ঘটে। স্কুল কর্তৃপক্ষকে অভিবাবক ও শিক্ষার্থীরা জানালেও স্থানীয় প্রভাবশালীদের কারনে মুখবুঝে থাকতে হচ্ছে শিক্ষার্থী ও অভিবাবকরা।
এ অভিযোগ প্রধান শিক্ষক অস্বিকার করে বলেন, স্কুলে পাশের মসজিদের টয়লেট বন্ধ থাকে; আর স্কুলের টয়লেট সব সময় খোলা রাখেন।