আসাদুজ্জামান ॥ মহামারী করোনা ভাইরাসের দুর্যোগ মোকাবেলায় বরিশাল নগরীর প্রায় ৪২ হাজার কর্মহীন ও মধ্যবিত্ত পরিবারের বাসায় খাবার পৌছে দিয়ে বিশাল জনগোষ্ঠির সেবক হিসেবে কাজ করে গরীবের মেয়র হিসেবে চিহিৃত হয়েছেন বরিশাল সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ। যতদিন করোনা ভাইরাসের তান্ডব থাকবে ততদিন কর্মহীন ও মধ্যবিত্ত পরিবারের বাসায় খাবার পৌছে দেয়া অব্যাহত থাকবে বলে জানা গেছে। তারুন্যের অহংকার যুবরত্ন সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ এই মহামারিতে জনগনের সেবা করে গরীবের মেয়র হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন নগরীর সিংহভাগ খেটে খাওয়া মানুষ। কেবল খাদ্য সহায়তাই নয়, মেয়র তার নিজের বিসিসির সম্মানির প্রায় সাড়ে ৩৫ লাখ টাকা নগরবাসীর জন্য গঠিত ত্রান তহবিলে জমা দিয়ে বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করে খেটে খাওয়া মানুষের মাঝে আস্থার স্থলে পরিনত হয়েছেন মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ।
জানা গেছে, করোনা মহামারী ভাইরাস আক্রমনের পরে নগরবাসীর জন্য সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে মনিটরিং সেল গঠন করা হয়। কালীবাড়ী রোডের মেয়রের বাস ভবনকে খাদ্য সহায়তা কেন্দ্র হিসেবে ঘোষনা করা হয়। সেখান থেকে নগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডে হাজার হাজার কর্মহীণ পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দেয়া শুরু হয়। গতকাল ২৬তম দিন হিসেবে প্রায় ৪২ হাজার পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
এছাড়াও প্রতিদিনি জীবাণুনাশক পানি প্রায় ৩০ হাজার লিটারের বেশি নগরীতে দেয়া হচ্ছে। মশক নিধন স্প্রে প্রতিটা ওয়ার্ডে দিচ্ছে সিটি কর্পোরেশন। নগরীর জনবহুল এলাকাগুলোতে মোড়ে মোড়ে সাবান পানি দিয়ে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করা হয়। সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখতে নগরীতে মাইকিংসহ উল্লেখযোগ্য জনবহুল এলাকাগুলোতে ২৪ ঘন্টা মাইকিং হচ্ছে। সিটি কর্পোশেনের কর্মকর্তা কর্মচারী, ওয়ার্ড কাউন্সিলর, আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের প্রায় ১৫শত লোক খাদ্য সহায়তা দিতে মেয়রের নির্দেশে দিন রাত কাজ করে যাচ্ছেন। নগরীর ৩০টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর ও সংশ্লিষ্ট নেতৃবৃন্দের সাথে প্রতিদিন ভিডিও কণফারেন্স’র মাধ্যমে সার্বক্ষনিক মনিটরিং করে নগরবাসীর সেবা নিশ্চিত করছেন সিটি মেয়র। নগর পরিচ্ছন্ন রাখতে বিসিসির পরিচ্ছন্ন কর্মীরা আগের চেয়ে বেশি উদ্যোমে কাজ করছেন।
বরিশালের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর ভিডিও কণফারেন্সসহ বরিশালে জেলা প্রশাসন ও আইন শৃংখলা বাহিনীর সাথে সার্বক্ষনিক যোগাযোগসহ নগরবাসীকে ঘরে থাকার আহবান জানিয়ে প্রচারনা চালিয়ে করোনা মোকাবেলায় কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। বৃহত্তর বরিশালের সেবাকেন্দ্র শেবাচিম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীর স্বজনদের ৩ বেলা খাবারের ব্যবস্থা করে গোটা দক্ষিনবঙ্গে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছেন মেয়র।
মেয়র নির্বাচিত হয়ে নগরবাসীর উদ্দেশ্য সিটি মেয়র বলেছিলেন, তিনি মেয়র হিসেবে নয় সেবক হিসেবে কাজ করবেন। তার এই বক্তব্য ’র সঠিকতা বাস্তবে রূপায়িত হয়েছে। বিসিসির দুর্নীতি রোধে পদক্ষেপ নিয়ে ব্যাপক প্রশংসিত হওয়ার পরে করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় কর্মহীনদের ঘরে খাবার পৌঁছে দিয়ে সব শ্রেণী পেশাসহ তৃণমূল গরীবদের নিকট এবার গরীবের মেয়র হিসেবে প্রশংসিত হয়েছেন। করোনা ভাইরাস মহামারী শুরু হলে কয়েকজনে ত্রাণ দেয়ার নামে ফটোসেশন নিয়ে ব্যাপক আলোচিত হলেও তাদেরকে এখন কর্মহীনদের পাশে দেখা যাচ্ছেনা।
কেবল তারাই নয়, বৃহৎ রাজনৈতিক দলগুলোর নেতৃবৃন্দ ও বিত্তবানদের খাদ্য সহায়তায় এগিয়ে আসার খবর পাওয়া যায়নি। সিটি কর্পোরেশনের ত্রান তহবিল গঠন করার পরে সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ নগরীর বিত্তবানদেরকে এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছিলেন। বরিশাল নগরীতে খান সন্স কোম্পানী, এম ই পি কোম্পানী, অমৃত লাল দে কোম্পানী,সহ প্রায় ১০টির বেশি কোম্পানী রয়েছে।
এছাড়াও নগরীতে শত শত কোটি টাকার মালিক বিত্তবানদের সংখ্যাও প্রায় সহ¯্রাধিক রয়েছে। কর্মহীন পরিবার কে সহায়তা দিতে এ পর্যন্ত এই সকল বিত্তবানদের কে এগিয়ে আসার খবর মেলেনি। এই মহা দুর্যোগে নগরবাসীর ক্লান্তিলগ্নে প্রায় অর্ধ লক্ষ পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দিয়ে খেটে খাওয়া মানুষের মাঝে দৃষ্টান্ত স্থাপনের বিষয়ে বিশিষ্টজন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব শহীদ আবদুর রব বরিশাল প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি সর্বজন শ্রদ্ধেয় এ্যাড. এস এম ইকবাল বলেন, মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ একজন সৎ ব্যক্তি, এই দুর্যোগে গরীবদের ভরসা মেয়র সাদিক। কর্মহীনদের ঘরে ঘরে খাবার পৌছে দিয়ে গরীবের ভালোবাসায় শিক্ত হয়েছেন। সুষম বন্টনের মধ্যে দিয়ে নিরলস জনগনের সেবক হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।
বরিশালের বিশিষ্ট সাংস্কৃতিকজন শব্দাবলী গ্রুপ থিয়েটারের সভাপতি নাট্যজন সৈয়দ দুলাল বলেন, মহামারী করোনা শুরু হলে প্রথমে খুচরা কয়েকজনে ত্রাণ সহায়তার নামে ফটোসেশন দিয়ে ঘরে উঠেছেন। কিন্তু সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ কর্মহীন ও অসহায় প্রতিটি মানুষের ঘরে খাবার পৌছে দিয়ে গরীবের অন্তর জয় করেছেন। অনেকেই সাদিক আবদুল্লাহকে গরীবের মেয়র হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। বরিশাল সাংস্কৃতিক সংগঠন সমন্বয় পরিষদের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা ও সাংবাদিক কাজল ঘোষও একই মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, সাদিক আবদুল্লাহ নগরবাসী ও গরীবের সেবক তা প্রমান করেছেন।
বরিশালের বিশিষ্ট সাংবাদিক মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের বরিশাল জেলা সভাপতি শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত বরিশাল প্রেসক্লাবের বার বার নির্বাচিত সাংবাদিক নেতা দৈনিক আজকের পরিবর্তন পত্রিকার সম্পাদক কাজী মিরাজ মাহমুদ বলেন, এতো কম সময়ে ৪২ হাজার কর্মহীন পরিবারের মধ্যে ত্রাণ বিতরন শুধু মাত্র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর পক্ষেই সম্ভব, এটি একটি বড় মনের পরিচয়, বিশেষ করে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে তেমন কোনো অনুদান না পৌছলেও তার এই সাহসী পদক্ষেপ নগরবাসীর মনে অনেকটা স্বস্তি এনে দিয়েছে।
বরিশাল সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাউথ এ্যাপোলো ডায়াগনস্টিক কমপ্লেক্স প্রাইভেট লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক হালিম রেজা মোফাজ্জেল বলেন, প্রায় অর্ধলক্ষ কর্মহীন ও মধ্যবিত্ত পরিবারের ঘরে খাবার পৌছে দিয়ে গরীব বান্ধব মেয়র হিসাবে বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন বরিশাল সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ।
সাংস্কৃতিক সংগঠন সমন্বয় পরিষদের সাধারন সম্পাদক মিজানুর রহমান বলেন, সিটি মেয়র সাদিক আবদু