কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত ছাত্রীদের ওপর নির্যাতনের অভিযোগে বহিষ্কৃত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি সুফিয়া কামাল হল ছাত্রলীগের সভাপতি ইফফাত জাহান এশার বাড়ি ঝিনাইদহে। গ্রামের বাড়ি ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার ৩নং দিগনগর ইউনিয়নের দেবতলা গ্রামে। বর্তমান তারা পুরো পরিবার নিয়ে ঝিনাইদহ শহরের আরাপপুরের জামতলায় বসবাস করেন। তার মা গৃহণী।
বাবা মো. ইসমাইল হোসেন বাদশা সাবেক ঝিনাইদহ জেলা জাসদের সভাপতি ছিলেন। ২০০১ সালে শৈলকুপার গাড়াগঞ্জ একটি জনসভায় তিনি আওয়ামী লীগে যোগদান করেন। পরে তাকে পিছনের ফিরে তাকাতে হয়নি। বর্তমানে ইসমাইল হোসেন ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিববেশক বিষয়ক সম্পাদক এবং জেলা দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি)। তিনি আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর একটানা পিপির দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চার ভাই বোনের মধ্যে এশা তৃতীয়। তার দুই বোনের বিয়ে হয়ে গেছে ও সবাই ছোট ভাই ঝিনাইদহ সরকারি বালক বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণির ছাত্র।
এশা ঝিনাইদহ সরকারি বালিকা বিদ্যালয় থেকে ২০১০ সালে মানবিক বিভাগ থেকে এসএসসি ও ২০১২ সালে ঝিনাইদহ সরকারি নুরুন্নাহার মহিলা কলেজ থেকে মানবিক বিভাগ নিয়ে এইচএসসি পাস করেন। এরপর ২০১২-২০১৩ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দর্শন বিভাগে ভর্তি হন। বর্তমানে তিনি মাস্টার্সের শিক্ষার্থী। এশা ঢাকায় বসবাসের পর থেকে কিছুটা পাল্টিয়ে যান। আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান হিসাবে তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগে যোগ দেন।
ছাত্রলীগ নেত্রী এশার বাবা ইসমাইল হোসেন বাদশা দাবি করেন, আমার মেয়ে এশার বিরুদ্ধে অভিযোগ মিথ্যা করা হচ্ছে। সে ষড়যন্ত্রের স্বীকার। ভিসির বাসভবনে যারা হামলা করে মিথ্যা রটিয়েছে এটাও এমন মিথ্যা অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। তিনি শাস্তিমূলক ব্যবস্থার আগে পুরো বিষয়টি সঠিক ভাবে তদন্তের দাবি করেন।
উল্লেখ্য, এক শিক্ষার্থীর ওপর নির্যাতনের অভিযোগে ছাত্রলীগ নেত্রী এশাকে বহিষ্কার করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক গোলাম রব্বানী।এর আগে তিনি এশাকে হল থেকে বহিষ্কারের আদেশ দেন। একইসাথে তাকে সুফিয়া কামাল হলের সভাপতি পদ থেকে বহিষ্কার করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ছাত্রলীগ সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।