বাংলাদেশে পাট পাতা থেকে চা বানিয়ে শুধু নিজের দেশে নিয়ে যাচ্ছে জার্মানি। পরীক্ষামূলক প্রকল্পে এ মৌসুমে উৎপাদিত চার হাজার থেকে পাঁচ হাজার কেজি জৈব পাট পানীয়র পুরোটা জার্মানিতে রফতানি করা হবে। এর আর্থিক মূল্য প্রায় ৮০ হাজার মার্কিন ডলার বলে সংসদীয় কমিটিকে জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ তথ্য জানানো হয়। বৈঠকে উত্থাপিত কার্যপত্র থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। তবে আগামীতে পাট পাতার চা দেশের মানুষও পান করতে পারবে বলে জানিয়েছেন সংসদীয় কমিটির সভাপতি মির্জা আজম।
কার্যপত্রে আরও উল্লেখ করা হয়, জার্মানির একটি কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠান এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এ কারণে মানিকগঞ্জের লেমুবাড়িতে পাইলট প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। ৪০ শতাংশ জমি ও ১৭ কক্ষ বিশিষ্ট একটি স্থাপনা বিজেএমপি কর্তৃক তিন বছরের জন্য ভাড়া নিয়ে প্রকল্পের কাজ চলছে।
এ বিষয়ে সংসদীয় কমিটির সভাপতি মির্জা আজম বলেন, পাট পানীয় উৎপাদনের উদ্দেশ্যে পাটের উৎপাদন বাড়ানো, জৈব পাট চাষ, পাট পাতা প্রক্রিয়াকরণ ও জৈব চাষ সংক্রান্ত তথ্য সংরক্ষণের ক্ষেত্রে পুরোপুরি ইউরোপিয়ান মান অনুসরণ করা হবে। আর এ বছর শুধু জার্মানিতে রফতানি করা হলেও আগামীতে দেশবাসীও পাট পাতার চা পান করত পারবে।
সংসদ সচিবালয় সূত্র জানায়, বস্ত্র খাতের যথাযথ উন্নয়ন নিশ্চিতকল্পে একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার সুপারিশ করেছে কমিটি। পাশাপাশি এ খাতে দক্ষ জনবল গড়ে তোলার জন্য প্রয়োজনীয় শিক্ষক ও প্রশিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করারও সুপারিশ করা হয়েছে।
বৈঠকে বিজেএমসি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়। শ্রমিক অসন্তোষ দূর করার লক্ষ্যে বকেয়া মজুরি পরিশোধসহ নানাবিধ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে বলে বৈঠকে উল্লেখ করা হয়।
কমিটির সভাপতি মির্জা আজমের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, মো. ইসরাফিল আলম, মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, রনজিত কুমার রায়, মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী, শাহীন আক্তার, আব্দুল মমিন মন্ডল এবং খাদিজাতুল আনোয়ার অংশ নেন।
এছাড়া বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব, বস্ত্র অধিদফতরের মহাপরিচালক, বিজেএমসি, বিটিএমসি ও বাংলাদেশ তাঁত বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ মন্ত্রণালয় ও জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।