মোবাইল ফোন নিয়ে বিরোধের জের ধরে নিহত স্কুলছাত্র আবু সালেহ হত্যা মামলার অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে বরিশাল কোতয়ালি মডেল থানা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২৬ এপ্রিল) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মহিউদ্দিন আহম্মেদ আদালতের জিআরও’র কাছে এই অভিযোগপত্র জমা দেন।
তদন্ত কর্মকর্তা ৩ জনকে অভিযুক্ত ও একজনকে অব্যহতির আবেদন করে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ রুপাতলী শেরেবাংলা সড়কের আতাউর রহমান সুজনের ছেলে আল ইমরান হৃদয়, দেলোয়ার হোসেন মৃধার স্ত্রী জেনুফা বেগম ও তাদের ছেলে আরমান মৃধাকে অভিযুক্ত করেছে। সেই সঙ্গে দেলোয়ার হোসেন মৃধাকে অব্যহতির সুপারিশ করা হয়েছে।
মামলার বিবরণীতে জানা গেছে, দীর্ঘদিনের বন্ধু আবু সালেহর সঙ্গে মোবাইল ফোন নিয়ে বিরোধ তৈরি হয় হৃদয়ের। সালেহ ও তার পরিবার এ ঘটনার প্রতিবাদ করায় বিভিন্ন সময় হত্যার হুমকি দেয় হৃদয়। এরপর ২০১৭ সালের ১০ ডিসেম্বর রাতে প্রাইভেট পড়ে বাড়ি ফেরার সময় সালেহকে অভিযুক্তদের সহযোগিতায় শাবল দিয়ে মাথায় আঘাত করে হৃদয়।
খবর পেয়ে স্থানীয়রা সালেহকে উদ্ধার করে শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার পরের দিন সালেহ’র মা রহিমা বেগম বাদী হয়ে তিনজনের নাম উল্লেখসহ ৫ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ প্রধান আসামি হৃদয়কে চলতি বছরের ২২ জানুয়ারী গ্রেফতার করলেও পলাতক রয়েছে দুই আসামি।