মোদি তবু মোদি নয়! পোশাক এক, ভঙ্গিমা এক, এমনকি কথা বলার ধরণও নরেন্দ্র মোদির মতোই! লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন এ এক ‘নকল’ নরেন্দ্র মোদি। তবে নির্বাচন কমিশনের নির্বাচনী বিধি ভঙ্গের কোপে পড়েছেন এই হুবহু মোদি।
নিজের প্রচারে এই ব্যক্তি ঘোষণা করেছেন ‘এক ভোট এক নোট’! শুক্রবারই নির্দল প্রার্থী হিসেবে লখনউ থেকে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন অভিনন্দন পাঠক বা এই ‘নকল’ মোদি! তিনি জানিয়েছেন, তিনি মোদির বারাণসী আসনেও তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এরপরই তিনি সাংবাদিকদের বলেন যে তার স্লোগান হলো ‘এক ভোট, এক নোট’।
নির্বাচনী হাওয়া দেশে, কলকাতার স্কুলগাড়িতে খুদেরা মেতেছে ‘ভোট ভোট’ খেলায়
শুক্রবার অভিনন্দন পাঠককে দেয়া নোটিশে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কৌশলরাজ শর্মা বলেন, এই স্লোগান নির্বাচনীবিধি লঙ্ঘন করেছে, কারণ ভোটারদের ভোট দেয়ার জন্য টাকার লোভ দেখানো হচ্ছে।
সূত্রের খবর, ওই নোটিশের জবাব দিতে অভিনন্দন পাঠককে ২৪ ঘণ্টা সময় দেয়া হয়েছে। উত্তর না দিলে সংশ্লিষ্ট বিভাগের অধীনে তার বিরুদ্ধে এফআইআর দাখিল করা হবে।
লখনউ থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন, কিন্তু এখনও বিজেপির হয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেননি তিনি। মন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ করেছেন অভিনন্দন পাঠক, তারপরেই জানিয়েছেন ২৬ এপ্রিল বারাণসীতে গিয়ে নিজের মনোনয়ন জমা দেবেন তিনি।
নিজেকে অবশ্য নকল মোদি ভাবতে রাজি নন পাঠক। নিজেকে ‘সিরিয়াস প্রার্থী’ হিসেবেই তুলে ধরেন পাঠক এবং বলেন, তিনি ‘জুমলা’ বা চমকের বিরুদ্ধে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য আমি রাহুল গান্ধীকেই প্রার্থী হিসেবে সমর্থন করব।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মতোই পোশাক পরেন তিনি এবং প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য রাখার শৈলী অনুযায়ী পাঠকও ‘মিত্রোঁ’ বলেই নিজের বক্তৃতা শুরু করেন। সাহারানপুরের বাসিন্দা, পাঠক গত মাসেই কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। এর আগে তিনি উত্তরপ্রদেশের রাজ্য উপ-সভাপতি হিসেবে এনডিএর জোট রিপাবলিকান পার্টি অব ইন্ডিয়া’র সঙ্গেই যুক্ত ছিলেন।
২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে পাঠকসহ প্রধানমন্ত্রীর মতো দেখতে একাধিক ব্যক্তিকে সারা দেশেই মোদির প্রচার চলাকালে দেখা যায়। গত বছর ছত্তিশগড়ে অনুষ্ঠিত বিধানসভা নির্বাচনে অবশ্য কংগ্রেসের জন্য প্রচার করেছিলেন পাঠক।
লক্ষ্ণৌতে ভোট হবে ৬ মে। সাতটি পর্যায়ের জাতীয় নির্বাচনের ফলাফল গণনা হবে ২৩ মে। সূত্র: এনডিটিভি