শেখ সুমন:
শিক্ষকের কুকৃতির প্রতিবাদ জানিয়ে ক্লাস বর্জনও মানববন্ধন করেছে বরিশালের পলাশপূর বৌবাজার এলাকার আলহাজ্ব দলিল উদ্দিন বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
গতকাল সহকারী শিক্ষক মোঃ রফিকুল ইসলাম নিয়োমিত ক্লাস নিতে গেলে শিক্ষার্থীরা শ্রেণী কক্ষ থেকে বেড়িয়ে বিদ্যালয়ের মাঠে অবস্থান নেয় এবং শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের শ্লোগান দিতে থাকে।এবং আজ মানববন্ধন করেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় যে,শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। শিক্ষার্থী তাবাচ্ছুম জানান,রফিকুল ইসলাম শ্রেণীকক্ষে পাঠদানের সময় তিনি বিভিন্ন ধরনের অশ্লীল কথা বলেন।শাস্তি দেওয়ার নামে শিক্ষার্থীদের গায়ে হাত দেন। আরেক শিক্ষার্থী সাদিয়া জানান, শিক্ষক রফিকুল ইসলাম তাদেরকে মারধর করেন।তাদের সাথে অশ্লীল ও অশালীন ব্যাবহার করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী এই প্রতিবেদককে জানান, রফিক স্যারের বাসায় কোচিং করার সময় রফিক স্যার তার গায়ে হাত দিতো।পায়ের সাথে পা লাগাতো এবং বিভিন্ন সময়ে তাকে স্পর্শ করতো। এ ব্যাপারে ঐ শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে অভিযোগ করেন।
বিদ্যালয়ের শিক্ষক মোঃ জসিমউদ্দিন জানান, রফিকুল ইসলাম একজন অর্থ আত্মসাৎ কারী এবং অসৎ চরিত্রের ।তিনি শিক্ষার্থীদের সাথে বাজে ব্যাবহার করেন।
আরেকজন শিক্ষক শামিমা ফেরদৌস বলেন, রফিকুল ইসলাম একজন নারী লোভী।অসৎ চরিত্রের।আমরা তার সাথে একত্রে কাজ করতে পারবোনা।
প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলাম বলেন, বিদ্যালয়ের শিক্ষক,কর্মচারী এবং শিক্ষার্থীরা রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছে।তার অব্যাহতি দাবি করছে।
স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি রিয়াজুল কবীর বলেন,আমি শিক্ষক,কর্মচারী এবং শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়েছি।আমি কমিটির সাথে বসে তার বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক আইনগত ব্যাবস্থা নিবো।আমি ইতিমধ্যেই তাকে ক্লাস নিতে নিষেধ করেছি।
প্রসংগত, রফিকুল ইসলাম শিক্ষার্থীদের যৌন হয়রানি করেন।বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে।বিদ্যালয় থেকে এক লক্ষ পঁচিশ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন।এবং কিছুদিন আগে এক প্রবাসীর স্ত্রী ও প্রাত্তন ছাত্রীকে নিয়ে পালিয়ে যান।বিভিন্ন মহিলাদের সাথে পরোকীয়ায় আসক্ত আছেন শিক্ষক রফিকুল ইসলাম।তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলা রয়েছে।