১০ মে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশের চিন্তা-ভাবনা করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ লক্ষ্যে শিক্ষা বোর্ডগুলোর সঙ্গে আজ মঙ্গলবার মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা সচিব মো. মাহবুব হোসেন অনলাইনে ভিডিও কনফারেন্সে বৈঠক করার কথা রয়েছে।
শিক্ষা বোর্ডগুলো থেকে জানা গেছে, পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে ফল প্রকাশের একটি রীতি চালু হয়েছে। এই রীতি অনুযায়ী বিগত ১০ বছর জেএসসি ও সমমান, এসএসসি ও সমমান, এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষাসহ সব পাবলিক পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হচ্ছে।
দীর্ঘদিনের রীতি এবার ব্যত্যয় হওয়ার আশঙ্কা করছেন তারা। করোনা সংক্রমণ এড়াতে সরকার সারাদেশে যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ রেখেছে। এ কারণে মাঠ পর্যায়ে পাঠানো শিক্ষার্থীদের উত্তরপত্রের মূল্যায়ন শেষে নম্বরপত্র (ওএমআর শিট) বোর্ডে পৌঁছাতে পারছেন না শিক্ষকরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের একজন অতিরিক্ত সচিব সোমবার গণমাধ্যমকে জানান, চলতি মাসের মধ্যে করোনা পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে আগামী ১০ মে এসএসসি-সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হতে পারে। সেই লক্ষ্যে এ কাজের আপডেট জানতে ও ফল প্রকাশের সময় নির্ধারণে মঙ্গলবার সাধারণ ৯টি শিক্ষা বোর্ডসহ কারিগরি এবং মাদরাসা বোর্ডের চেয়ারম্যানের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠক করবেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন।
ইতোমধ্যে সাধারণ শিক্ষা বোর্ডগুলোর ফলাফল তৈরির কাজ প্রায় শেষ হলেও মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড অনেক পিছিয়ে বলে জানা গেছে।
এবার এসএসসি-সমমান পরীক্ষা ১ফেব্রুয়ারি শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সরস্বতী পূজার কারণে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন পিছিয়ে ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়। এ কারণে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষাও পিছিয়ে ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়। ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলে তত্ত্বীয় পরীক্ষা। আর ২৯ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে ৫ মার্চ শেষ হয় ব্যবহারিক পরীক্ষা। এ পরীক্ষায় সারাদেশে ১০টি বোর্ডের অধীনে ৩ হাজার ৫১২টি কেন্দ্রে মোট ২০ লাখ ২৮ হাজার ৮৮৪ পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়।