দেশে কাগজের পত্রিকার জনপ্রিয়তা ক্রমেই কমছে। সংবাদপত্রের পাঠক প্রতিবছর গড়ে ৫-১০ শতাংশ কমছে। এটা সারা বিশ্বে ঘটছে। এর মূল কারণ অনলাইন সংবাদমাধ্যম। সব পত্রিকাকেই বাধ্য হয়ে অনলাইনের দিকে যেতে হবে। কারণ অনলাইন সংবাদপত্রেই ভবিষ্যৎ আছে।
বুধবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সম্মেলন কক্ষে সংবাদপত্র শিল্প মালিকদের সংগঠন নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব) এবং অ্যাসোসিয়েশন অব টেলিভিশন চ্যানেল ওনার্স (অ্যাটকো) নেতাদের সঙ্গে প্রাক-বাজেট আলোচনা হয়। সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, অ্যাটকোর সভাপতি সালমান এফ রহমান, নোয়াবের সভাপতি মতিউর রহমান। এছাড়া বক্তব্য দেন অ্যাটকোর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোজাম্মেল বাবু, ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনাম।
মতিউর রহমান বলেন, পত্রিকা টিকে থাকতে হলে অবশ্যই অনলাইনে যেতে হবে। আমরাও যাচ্ছি। ক্রমেই অনলাইনের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। আর পত্রিকার পাঠক কমছে।
সালমান এফ রহমান বলেন, আমাদের দেশে টেলিভিশন সম্প্রচারে কোনো ল্যান্ডিং প্রাইজ নেই। বিশ্বে যে কোনো দেশে আমরা গেলে ফি দিতে হয়। কিন্তু আমাদের দেশে বিদেশি চ্যানেল সম্প্রচারে কোনো টাকা লাগে না।
তিনি বলেন, দেশে টেলিভিশন গ্রাহক আছে দুই থেকে তিন কোটি। ক্যাবল অপারেটররা যারা দেশি-বিদেশি চ্যানেল দেখায় তারা কোনোপ্রকার কর দেয় না। এ জন্য এই সেক্টরকে ডিজিটালাইজড করতে পারলে সরকার সহজেই ১২ থেকে ১৫শ’ কোটি টাকা আয় করতে পারে।
মোজাম্মেল বাবু বলেন, ক্যাবল অপারেটরদের ডিজিটালাইজড করতে পারলে প্রতি বছর অতিরিক্ত ১২শ’-১৫শ’ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করতে পারে সরকার। এ নিয়ে চলতি বাজেটে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ঘোষণা দিলেও সেটির এখনো বাস্তবায়ন হয়নি।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের টিভি চ্যানেল অন্য দেশে দেখাতে হলে ল্যান্ডিং ফি দিতে হয়। অথচ বাংলাদেশে পাকিস্তান, তুরস্কসহ বিভিন্ন দেশের টিভি চ্যানেল প্রচারিত হলেও এই চার্জ দিতে হয় না।