বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) উপাচার্য প্রফেসর ড. এসএম ইমামুল হকের অপসারণ দাবিতে আমরণ অনশনরত দুই শিক্ষক ও ছয় শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এদের মধ্যে দুই শিক্ষককে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদিকে অসুস্থ ছয় শিক্ষার্থীকে স্যালাইন দেয়া হচ্ছে।
বুধবার সকাল ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যলেয়ের প্রশাসনিক ভবনের নিচতলায় অনশন শুরু করেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। রাতে অনশনে যোগ দেন শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদকসহ চারজন। অনশনরত শিক্ষকরা হলেন- শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর মিয়া, সহ-সভাপতি সরদার কায়সার আহমেদ, বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সঞ্জয় সরকার ও ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মিজানুর রহমান।
এদের মধ্যে সহ-সভাপতি সরদার কায়সার আহমেদ ও ইংরেজি বিভাগের সহকারিী অধ্যাপক মিজানুর রহমান অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদেরকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদিকে অনশনরত শিক্ষার্থীদের মধ্যে তনুশ্রী দত্ত, মো. মারুফ, মো. ইব্রাহিমসহ ছয়জন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাদেরকে চিকিৎসকের পরামর্শে স্যালাইন দেয়া হচ্ছে।
অনশনরত বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর মিয়া বলেন, উপাচার্যের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনিয়ম ও বৈষম্য চরম আকার ধারণ করেছিল। দীর্ঘদিনের পুঞ্জিভূত ক্ষোভ, অপমান, দুর্ব্যবহার, মানসিক নিপীড়ন ও চরম বৈষম্যের কারণে আজ ছাত্র-শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাঝে এই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। এটা একদিনের ক্ষোভ নয়৷ এটা উপাচার্যের অপশাসন, স্বৈরাচারী মনোভাব, খারাপ আচরণ, ছাত্র-ছাত্রীদের কারণে-অকারণে তাচ্ছিল্য ইত্যাদির ফল। তাকে অপসারণ না করা পর্যন্ত আমরণ অনশন চলবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করার পরও উপাচার্য পদত্যাগ করেননি, হয়নি অপসারণও। আর এ কারণে আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। দাবি না মানা পর্যন্ত আমাদের এই আন্দোলন চলবে।