পরপর দুইদিনে দুই তারকার চিরপ্রস্থান দেখলো বলিউড। ২৯ এপ্রিল ইরফান খানের মৃত্যুর একদিন পর চলে গেলেন অভিনেতা ও প্রযোজক ঋষি কাপুর। তার মৃত্যুতে শোকের চাদরে ঢাকা পড়েছে হিন্দি সিনেমার আঙিনা।
সেইসঙ্গে শোক নেমেছে সমগ্র ভারতেও। দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিসহ নানা ব্যক্তিত্ব ও প্রতিষ্ঠান শোক জানাচ্ছে।
এদিকে বলিউডের তারকারা ইরফানের কান্নার জল মুছার আগেই আরও একবার কান্নায় মেতেছেন ঋষির বিদায়ে। এভাবে আকস্মিকভাবে এই অভিনেতা চলে যাবেন ভাবতে পারেননি কেউই! জানাতে গিয়ে কণ্ঠস্বর রোধ হয়ে আসছিল অভিনেত্রী শর্মিলা ঠাকুরের।
তিনি বলেন, ‘আমি শোকাহত, মর্মাহত! বিশ্বাস করতে পারছি না। কী ভাল অভিনেতা। ওর শূন্যস্থান দিন পূরণ হবে না। তার ‘মুলক’, ‘কাপুর অ্যান্ড সনস’ কত ছবির নাম বলব! কাল ইরফান খান, আজ ঋষি! আমরা তো এখন একটা পরিবার। আমার পুত্রবধূ কারিনার চাচা। আমি কথা বলতে পারছি না। গলা পাকিয়ে আসছে। ধীরে ধীরে সুস্থ হচ্ছিল ও। মনে আছে, নিউইয়র্ক থেকে ফেরার পর পৃথ্বী থিয়েটারে গিয়েছিলাম একদিন। অনেকে ছিল তাই কথা হয়নি তার সঙ্গে। হাসিঠাট্টা করছিল, দেখে মনে হচ্ছিল সব ঠিকই তো চলছিল। এই তো দিন কয়েক আগেই, লকডাউনে মদের দোকান খোলা নিয়ে কথা বলল। আর কারও ক্ষমতা হত না এটা বলার আমি নিশ্চিত। আমি তো এখন দিল্লিতে থাকি, মুম্বাইতে যেতেও পারব না।’
ঋষিকে ভাল বন্ধু দাবি করে শর্মিলা বলেন, ‘তার সঙ্গে কোনো ছবি করিনি। কিন্তু ঋষি খুব ভাল বন্ধু ছিল আমার। আমার দুই ছেলেমেয়ে সাইফ আর সোহা দু’জনেই তার সঙ্গে স্ক্রিন স্পেস শেয়ার করেছে। এখন তো পারিবারিকভাবেও জড়িত আমরা। বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে।’
আমিতাভ বললেন, ‘আমি শেষ হয়ে গেলাম! ও চলে গেল। ঋষি চলে গেল এভাবে ছেড়ে। আমি পুরোপুরি ভেঙে পড়েছি।’ বৃহস্পতিবার সকালে টুইট করে ঋষি কাপুরের মৃত্যুর খবরে এভাবেই শোক প্রকাশ করেন অমিতাভ বচ্চন।
ঋষি কাপুরের বহু সিনেমাএ নায়িকা হেমা মালিনী বলেন, ‘ঋষির মতো অভিনেতা হয় না। বহু বছর থেকেই নীতু আর ঋষিকে চিনি। এই সময়ে কথা বলতে পারছি না।’
আবেগপ্রবণ ধর্মেন্দ্র বললেন, “আমি ভেবেছিলাম ও লড়ে, জিতে ফিরেছে! ঋষি অনেক কিছু শিখিয়ে গিয়েছে আমাদের।’ অক্ষুয় কুমার বলেন, ‘তিনি ছিলেন কিংবদন্তি, একজন ভালো সহকর্মী এবং বন্ধু।’
আরও শোক জানিয়েছেন রজনীকান্ত, জন আব্রাহাম, বোমান ইরানি, রাভিনা ট্যান্ডন, রিতেশ দেশমুখ, প্রিয়াঙ্কা, সালমান খানসহ বলিউডের অনেক তারকা।