করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন আরেকজন সাংবাদিক। নতুন করে আক্রান্ত এ সাংবাদিক দৈনিক প্রতিদিনের সংবাদ পত্রিকার রিপোর্টার। কয়েক দিন ধরেই করোনা উপসর্গ নিয়ে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে (আইইডিসিআর) বার বার ফোন দিলেও প্রাথমিকভাবে তেমন সাড়া পাওয়া যায়নি।
পরে সাংবাদিকরা চাপ দিলে ওই সাংবাদিকদের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নমুনা নেয়ার দুদিন পর বুধবার (৩০ এপ্রিল) রাতে আইইডিসিআরের পরিচালক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরার নম্বর থেকে রোগীকে এসএমএস করে করোনা পজিটিভ বলে জানানো হয়।
দৈনিক প্রতিদিনের সংবাদের এই সাংবাদিকসহ এখন পর্যন্ত ৩৯ জন গণমাধ্যমকর্মী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে একজন সিনিয়র সাংবাদিক মারা গেছেন। আর সেরে উঠেছেন ৮ জন। সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছেন বেসরকারি টিভি চ্যানেল দীপ্ত টিভির সংবাদকর্মীরা।
এ কারণে টিভি অফিসটি লকডাউন করা হয়েছে। বন্ধ রয়েছে সংবাদ বিভাগ। বিশেষ ব্যবস্থায় পুরানো অনুষ্ঠান নিয়ে সম্প্রচার চালাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।
এদিকে, বুধবার যশোরের স্থানীয় দৈনিক লোকসমাজের একজন সাব-এডিটরের শরীরে করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) শনাক্ত হয়েছে।
করোনাভাইরাস থেকে সেরে ওঠা সাংবাদিকরা হলেন- বেসরকারি টেলিভিশন ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভির ক্যামেরাপারসন, যমুনা টিভির রিপোর্টার, দীপ্ত টিভির একজন, এটিএন নিউজের রিপোর্টার, যমুনা টিভির নরসিংদী প্রতিনিধি, একাত্তর টিভির গাজীপুর প্রতিনিধি, বাংলাদেশের খবরের রিপোর্টার ও দৈনিক সংগ্রামের একজন।
এদিকে, বৃহস্পতিবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে জানানো হয়েছে, মহামারি করোনাভাইরাস দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও পাঁচজনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মোট মৃত্যু হয়েছে ১৬৮ জনের। করোনায় আক্রান্ত হিসেবে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন আরও ৫৬৪ জন। ফলে দেশে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল সাত হাজার ৬৬৭ জনে।