অনলাইন ডেস্ক:
কুয়াকাটায় বঙ্গোপসাগরে কোস্টগার্ডের অভিযানে আটক হওয়া পাঁচ লাখ ইয়াবার ঘটনায় বুধবার ব্রিফিংকালে হাজির করা টিপু সিকদার মামলা কিংবা ঘটনা থেকে হাওয়া হয়ে যাওয়ার ঘটনায় নানা ধরনের মুখরোচক কথাবার্তা সর্বত্র আলোচিত হচ্ছে। বুধবার সকাল ১০টায় কোস্টগার্ডের নিজামপুর স্টেশনে গণমাধ্যম কর্মীদের সামনে জব্দ ইয়াবার সামনে ধৃত মোশাররফ সিকদার ও তার চাচাতো ভাই টিপুর বুকে নাম লেখা সংবলিত কাগজ লাগিয়ে ইয়াবা কারবারির হোতা হিসেবে ব্রিফিং করা হয়।
এসব ছবি গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়। কিন্তু বৃহস্পতিবার মহিপুর থানায় দায়ের করা মামলায় টিপু নেই। সাতজনকে আসামি করা হয়েছে। টিপু নাকি নির্দোশ তাই তাকে বাদ দিয়ে মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার কলাপাড়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তিন আসামিকে হাজির করে পুলিশ।
এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই কামাল হোসেন বিজ্ঞ আদালতে সাত দিনের রিমান্ড প্রার্থনা করেন। আদালত চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
কোস্টগার্ড ভোলা জোনের লেফটেন্যান্ট কমান্ডার নাজিউর রহমান বুধবার সকালে প্রেসব্রিফিংয়ে গণমাধ্যমকে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার শেষ বিকেলে কুয়াকাটার ৫০/৬০ কি.মি. দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের সোনারচর এলাকায় দু’টি মাছধরা ট্রলারে থাকা পাঁচ লাখ পিস ইয়াবাসহ মোশারেফ (৫০) ও টিপু শিকদার (৩০) নামের দু’জন ইয়াবা ব্যবসায়ীকে আটক করেন।
এসময় কোস্টগার্ডের উপস্থিতি টের পেয়ে বাকি পাঁচ জন পালিয়ে যায়। বেশ কয়েকজন জেলেকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ইয়াবার সাথে জড়িত না থাকায় ছেড়ে দেয়া হয়।
এরপর কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোনের এফবি বলেশ^র জাহাজের পেটি অফিসার মাইদুল ইসলাম বাদী হয়ে বুধবার সন্ধ্যায় ৭ জনের নাম উল্লেখ করে মহিপুর থানায় মামলা করেন। বৃহস্পতিবার আসামিদের আদালতে উপস্থাপন করা হলে দেখা যায় আদালতে টিপু নেই। এমনকি মামলায় টিপুর নাম নেই।
এছাড়া পলাতক আসামির কলামে চার জনের নাম রয়েছে। মামলায় অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে ২/৩ জনকে। আদালতে রিমান্ড শুনানীর সময় পত্রিকার কপি আদালতে উপস্থাপন করা হলে বিব্রত হন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।পেটি অফিসার মাইদুল ইসলাম জানান, জিজ্ঞাসাবাদে টিপুর সংশ্লিষ্টতা না থাকায় তাকে জিডি করে ও মুচলেকা রেখে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। কোস্টগার্ড ভোলা জোনের লেফটেন্যান্ট কমান্ডার নাজিউর রহমান জানান, টিপু শিকদার ধৃত আসামি মোশারেফ এর চাচাতো ভাই হলেও ইয়াবা ব্যবসার সাথে সংশ্লিষ্টতা না থাকায় তার নাম মামলায় অন্তর্ভূক্ত করা হয়নি। তবে ইয়াবার সঙ্গে টিপু শিকদারকে উপস্থাপন নিয়ে তিনি সদুত্তর দেননি।নমহিপুর থানার ওসি সাইদুল ইসলাম জানান, ৫ লাখ পিচ ইয়াবা মামলার তিন আসামির জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। রিমান্ডে অনেক গুরুত্বপূর্ন তথ্য জানা যাবে।
এতে পলাতক আসামিদের গ্রেফতার ও সংশ্লিষ্ট গডফাদারদের নামসহ অর্থ বিনিয়োগকারী সম্পর্কে তথ্য জানার চেষ্টা করা হবে।