বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় নিম্ন আদালতের দেয়া অর্থদণ্ড ও সম্পত্তি জব্দের নির্দেশ স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।
সেই সঙ্গে সাত বছরের দণ্ড বাতিল ও খালাস চেয়ে খালেদা জিয়ার আপিল আবেদন গ্রহণ করেছেন আদালত।
তবে এই মামলায় জামিন চেয়ে খালেদা জিয়ার করা আবেদন মঞ্জুর করেননি আদালত। দুই মাসের মধ্যে মামলার নথি চেয়ে হাইকোর্ট বলেছেন, নথি পাওয়ার পর জামিনের বিষয়ে বিবেচনা করা হবে।
বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এস এম কুদ্দুছ জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার এই আদেশ দেন।
গত বছরের ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেন আদালত। এছাড়া ১০ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়।
এ মামলায় অন্য আসামিরা হলেন- খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছের ব্যক্তিগত সচিব জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং বিএনপি নেতা সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার ব্যক্তিগত সহকারী সচিব মনিরুল ইসলাম। তাদের প্রত্যেককে সাত বছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
পাশাপাশি প্রত্যেককে ১০ লাখ টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে।
এ ছাড়া ট্রাস্টের নামে ঢাকা শহরে থাকা ৪২ কাঠা জমি রাষ্ট্রায়ত্ত করার আদেশ দেন আদালত।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও আর্থিক জরিমানা করা হয়। এরপর থেকেই কারাগারে আছেন খালেদা জিয়া।