গত এক দশকের রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা দেখা দিয়েছে বরিশালে। এতে করে বিপর্যস্ত হয়ে উঠেছে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। সঙ্গে নতুন মাত্রায় যুক্ত হয়েছে বিদ্যুৎ বিভ্রাট।
বরিশাল আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ বশির আহম্মেদ জানিয়েছেন, রোববার (১৬ এপ্রিল) সকাল থেকে তাপমাত্রা আগের দিনের মতোই ছিল। শনিবার (১৫ এপ্রিল) বিকেল ৩টার দিকে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। এর আগের দিন শুক্রবার ৩৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি তাপমাত্রা ছিল ১০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, ২০১২ সালে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল ৩৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তিনি জানান, সাধারণত জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে তাপমাত্রার পরিবর্তন ঘটে। এখন আর আগের মতো বড় বড় গাছ, পুকুর, খাল-বিল নেই। এসব কারণে বাতাসের সঙ্গে আর্দ্রতা বহন করে না বলে গরমের তীব্রতা বাড়চ্ছে। তবে দুই একদিন পরে এই তাপমাত্রা কমবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
নগরীর রিকশাচালক আব্দুর রশিদ বলেন, এত বেশি গরম তা মুখে বলে শেষ করা যাচ্ছে না। দুপুরে রাস্তায় দাড়ানোও যায় না। এজন্য কয়েকদিন ধরে রোজগার কম।
স্কুল শিক্ষক সাবিনা আক্তার বলেন, একদিকে রমজান অন্যদিকে প্রচন্ড দাবদাহে খুব খারাপ অবস্থায় দিন যাচ্ছে। এর মধ্যে ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাট ও লো ভোল্টেজ। এতে ঘরের বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
নতুন বাজারের ব্যবসায়ী হারুন বলেন, বিদ্যুৎ সমস্যা হওয়ায় ফ্রিজে মাছ-মাংস রাখা যাচ্ছে না। ক্রেতার সংখ্যাও কম। এত গরম বিগত ১০ বছরেও আমরা অনুভব করিনি।
বরিশাল ওজোপাডিকো বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রুবেল কুমার দে বলেন, গরম বেশি পড়ায় শহরে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র (এসি) বেশি চলছে। এজন্য বিদ্যুতের অতিরিক্ত চাপ হওয়ায় লোডশেডিং হচ্ছে। তবে আমরা কাজ করছি এটি দ্রুত সমাধানের। আশা করি রাতের মধ্যে সমস্যার সমাধান হবে।