এক দফা এক দাবী “ভিসি তুই কবে যাবি” এ শ্লোগান নিয়ে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) উপাচার্য এসএম ইমামুল হক এর পদত্যাগের দাবীতে বরিশাল জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে অস্থান কর্মসূচি ও রাষ্ট্রপতি বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।
সোমবার (০১ এপ্রিল) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত নগরীর বান্দ রোডস্থ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন ও জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মরকলিপি প্রদান করে শিক্ষার্থীরা।
পরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে এক সংবাদ সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ভিসিকে ৪৮ ঘন্টার অাল্টিমেটাম দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
এময়ের মধ্যে ভিসি পদত্যাগ না করলে আরো কঠোর আন্দোলন কর্মসূচির হুমকি দিয়েছেন তারা।
এর আগে রোববার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থান ও মুখে কালো কাপড় বেঁধে বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা। ভিসির পদত্যাগ দাবিতে গত সাত দিনের টানা আন্দোলনের ফলে অচল অবস্থায় পরিনত হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস।
শিক্ষার্থীরা জানায়, শুধু দুঃখ প্রকাশ করলে চলবে না, ভিসি আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চাওয়া এবং বক্তব্য প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। ক্ষমা না চাইলে উপাচার্যের পদত্যাগ করতে বাধ্য করাবেন বলেও হুমকি দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
তারা আরো বলেন, সোমবার সকালে আমরা আমাদের দাবী দাওয়া সংবলিত একটি স্মারকলিপি বিভগীয় কমিশনার বরাবর দিয়েছি। পাশাপাশি সেখানে অবস্থান নিয়ে এক দফা এক দাবি ভিসি’র পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভ করেছি।
উল্লেখ্য, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের বাদ দিয়ে মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের প্রতিবাদ করায় ভিসি এসএম ইমামুল হক শিক্ষার্থীদের ‘রাজাকারের সন্তান’ বলে গালি দেন। এর প্রতিবাদে গত ২৬ মার্চ থেকে তারা লাগাতার আন্দোলন কর্মসূচি পালন করে আসছেন।
মাঝে ২৮ মার্চ থেকে প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কার্যক্রম বন্ধ ঘোষনা করে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দিলেও তা প্রত্যাক্ষান করে আন্দোলনকারীরা। তারা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নির্দেশ প্রত্যাখ্যান করে হলেই অবস্থান করছেন।
ধারবাহিকতায় শুক্রবার দিবাগত রাতে দুঃখ প্রকাশ করে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম ইমানুল হকের পক্ষে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। তবে তাতেও বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে শিক্ষার্থীরা হলে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন কর্মসূচী চালিয়ে যাচ্ছে।
তবে দুঃখ প্রকাশ করে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের দেয়া বক্তব্য ও আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। উপাচার্য বক্তব্যের মাধ্যমে মিথ্যাচার করেছে বলে অভিযোগ তাদের।