বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের গড়িয়ারপাড় নামক স্থানে রাস্তার পাশে অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে ছিল বেক্সিমকো ফার্মার এরিয়া ম্যানেজার সুজিত হালদার। গায়ে পিপিই জড়ানো। করানা আতংকে কেউ তার কাছে ঘেষেনি। পড়ে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে শেবাচিম হাসপতালে ভর্তি করে। কিন্তু বাঁচানো যায়নি তাকে।
জানা যায়, বুধবার সকালে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের গড়িয়ারপাড় এলাকায় রাস্তার পাশে জ্ঞান হারানো অবস্থায় পড়ে থাকা ব্যক্তির নাম সুজিত হালদার (৪০)। তিনি বেক্সিমকো ফর্মাসিটিউক্যাল কোম্পানীর এরিয়া ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তার সাথে মোঃ শাহে নেওয়াজ নামে একজন সহযোগী রয়েছেন।
শাহে নেওয়াজ জানান, বরিশাল থেকে তারা গৌরনদী উপজেলায় যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে মোটরসাইক (ঢাকা মেট্রো-হ-৪৬-১৩৩৬) দাড় করিয়ে রাস্তার পাশে একটি গাছের উপর বসে পড়েন। এর একটু পরেই তিনি জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন এবং শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। এসব দেখে মুঠোফোনে ওই ব্যক্তির বাড়িতে খবর দেয়া হয়। কিন্তু স্বজনদের আসতে দেরিয়ে হওয়ায় পার্শ্ববর্তী এয়ারপোর্ট থানা পুলিশকে খবর দেয়া হয়।
খবর পেয়ে এয়ারপোর্ট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ওয়ারেজসহ একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে দ্রুততার সাথে ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়।
শেবাচিম হাসপাতাল সূত্রে জানাগেছে, ‘সুচিত হালদার নামের ওই ব্যক্তির করোনা উপসর্গ দেখা দিলে উদ্ধার করে হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে আইসোলেশনে রাখা হয়েছিল। অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে এয়ার এম্বুলেন্স যোগে ঢাকা নেয়ার পথে সে মারা যায়। সুজিদ হালদারের স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে সন্তান রেখে গেছেন।