জাতীয় সংসদের স্পিকার ও অল পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপ কমিশনের সভাপতি ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি বলেছেন, বাজেট প্রস্তুতকরা সরকারের একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। রাষ্ট্রের নির্বাহী বিভাগের সব প্রক্রিয়া শেষে বাজেট জাতীয় সংসদে উপস্থাপন এবং পাস হয়। জনগণের আশা আকাঙ্খা বাজেটে প্রতিফলিত হচ্ছে কিনা সে বিষয়ে সংসদ সদস্যরা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন। জাতীয় সংসদে এবং সংসদীয় স্থায়ী কমিটিসমূহে বাজেট সম্পর্কে মতামত রাখার সুযোগ রয়েছে। সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে সম্পৃক্ত করে দারিদ্র বিমোচন সহায়ক বাজেট প্রণয়নে সংসদ সদস্যদের ভূমিকা রাখার সুযোগ রয়েছে। কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং উন্নয়ন সুবিধা তৃণমূলে পৌঁছে দেওয়ার মাধ্যমে অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়। আর এভাবেই অন্তর্ভূক্তিমূলক বাজেট প্রণয়ন করা সম্ভব বলে উল্লেখ করেন তিনি।
রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে অল পার্টি পার্লামেন্টারী গ্রুপ (এপিপিজি) আয়োজিত ২দিন ব্যাপী লীডারশীপ ওরিয়েন্টেশন কর্মসূচির সমাপনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। ‘স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউরস ফর বাজেট ডিসকাসন ফর অনারেবল মেম্বার অব পর্লামেন্ট’ শীর্ষক লীডারশীপ ওরিয়েন্টেশনে সভাপতিত্ব করেন সভাপতি যুব ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল এমপি।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এম. এ. মান্নান এমপি। এতে ৩০ জন সংসদ সদস্য অংশ নেন। স্পিকার পরে সবার মধ্যে সনদপত্র বিতরণ করেন।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া রূপকল্প ২০২১ অনুযায়ী সরকার পরিচালিত হচ্ছে। ২০৪১ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গঠনের লক্ষ্য অর্জনেও সরকার বদ্ধপরিকর। এসব লক্ষ্যগুলো অর্জনে আমাদের জাতীয় বাজেট কতটুকু সহায়ক, তা বিশ্লেষণ করতে পারেন সংসদ সদস্যগণ।
স্পিকার আরো বলেন, বর্তমান সরকার গত এক দশকে বাজেটে গুণগত অনেক পরিবর্তন এনেছে। নারীদের জন্য সকল মন্ত্রণালয়ে পৃথক বরাদ্দ থাকছে বাজেটে। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী, শিশু ও প্রতিবন্ধীদের জন্যও পৃথক বাজেট বরাদ্দ রাখা হচ্ছে।
দু’দিনের ওরিয়েন্টেশনের রিসোর্স পার্সন ছিলেন বিদ্যুৎ জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি শহীদুজ্জামান সরকার, সরকারী হিসাব সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো: রুস্তম আলী ফরাজী, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক মো. আবুল কালাম আজাদ, বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ, সিপিডি’র ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান, বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হুসেইন, কমনওয়েলথ সচিবালয়ের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিভাগের সাবেক প্রধান ড. মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বাজেট বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান ফিন্যান্সিয়াল ভলনটারি ক্রপসের পরিচালক এডওয়ার্ড সিয়া এবং আন্তর্জাতিক বাজেট বিশেষজ্ঞ মিস ক্যাথরিন গেস্ট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. এম আবু ইউসুফ ও এপিপিজি’র সেক্রেটারী জেনারেল শিশির শীল।