এপ্রিল ২৪, ২০২৫
Bangla Online News Banglarmukh24.com
জাতীয় প্রচ্ছদ বরিশাল রাজণীতি

মোগো ভালোবাসে সাদিক ভাই,নির্বাচনে হেই জিতবো।

শেখ সুমন:

আর কিছুদিন পরে নির্বাচনের হাওয়া আসবে বরিশাল সিটিকর্পোরেশনের জনসাধারণের মাঝে।নির্বাচনে মনোনয়ন পেতে দল এবং সাধারণ মানুষের মাঝে যোগাযোগ রাখার চেষ্টা করছেন রাজনৈতিক ব্যাক্তিগন।তারা বিভিন্ন দলের হাইকমান্ডের সাথে যেমন যোগাযোগ রাখছেন,তেমনে কাজ করছেন জনগণের সাথে। কিন্তু জনগণ এবার তাকেই নগর পিতার আসনে বসাতে চাইছেন,যে প্রকৃতপক্ষে জনসাধারণের সাথে কাজ করবে।ইতিমধ্যেই সাধারণ মানুষ তাদের ভবিষ্যত্ নগর পিতা নির্বাচনের চিন্তা ভাবনা করছে।

বরিশাল সরকারী জিলা স্কুলের মসজিদ গেটের সামনে তিনজন রিক্সাচালক কথা বলছেন নির্বাচন নিয়ে।তিনজনি বলছেন যে এবার তারা সাদিক ভাইকে ভোটে দিবেন ।

এই প্রতিবেদক তাদের কাছে জানতে চাইলেন যে, কেনও তারা সাদিক কে ভোট দিবেন ?

ষ্টিডিয়াম কলোনী নিবাসী মো: ইউনুস বলেন, সাদিক ভাই আমার মেয়ের চিকিৎসায় টাকা দিছে। আমার মেয়ে সেই টাকা না পেলে বাচতোনা ( চোখে পানি নিয়ে কথা বলছে )।আমি তাকে ভোট দিবোনা তো কাকে দিবো।

পলাশপুর নিবাসী রফিক বলেন, আমার একটি সমস্যার সমাধান সঠিক ভাবে  করছে। সে গরীবদের খুব ভালোবাসে। আমি ও তাকে ভোট দিবো। প্রধানমন্ত্রী যেন তাকে নমিনেশন দেয়। আমরা রিক্সা চালিয়ে সবাইরে বলবো তাকে ভোট দিতে।

জানা জায়যে,সাদিক সবার কথা শোনেন, সাধ্যমতো সহযোগিতা করেন। বিয়ের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন থেকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের উদ্বোধন কিছুতেই বাদ পড়ছেন না সাদিকের। তাকে ছাড়া যেন নগরবাসীর কোনো অনুষ্ঠানই পূর্ণতা পায় না। সামাজিক ও রাজনৈতিক কর্মকান্ড শেষে মধ্যরাতে যখন সাদিক ফেরেন তখনো মানুষের আনাগোনা থাকে নগরীর কালীবাড়িস্থ বাসায়।

বর্তমানে বরিশাল মহানগর আওয়ামীলীগের যুগ্ন-সাধারন সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ লড়ছেন বঞ্চিত মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে। কবিতার দুটি লাইনের সাথে এই রাজনীতিবিদের যৌবনকালের অদ্ভূতরকম মিল আছে। “এখন যৌবন যার, মিছিলে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়/এখন যৌবন যার যুদ্ধে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়”। ঠিক এই লাইনটির মতোই সাদিক নিজের যৌবনকালকে প্রথাগত চাকরি, ব্যবসা-বাণিজ্য করে নিরাপত্তার চাদরে মোড়া ঘরসংসার করার জীবন বেছে নেননি। তিনি বেছে নিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথে বাংলার মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর দৃপ্ত শপথ। লড়াইয়ে রক্তেভেজা রাজপথ, কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্ঠের অনিশ্চিত এক জীবন।

বরিশালের রাজনীতিবিদরা মনে করেন যাদের জীবন শুধু সংগ্রামের, ত্যাগের; যারা দিতে জানে বিনিময়ে কিছু নিতে জানে না প্রকৃত অর্থে তারাই মানুষ। যাদের অনুসরণ করলে প্রকৃত মানুষ হওয় যায়। সে রকম একজন সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ বরিশালের বর্তমানে খ্যাতিমান রাজনীতিবিদ। নানা ঝড়ঝাপ্টার মাঝেও দলীয় আদর্শে তিনি অবিচল থাকেন। তাইতো দলীয় নেতা কর্মীদের নিকট হয়ে উঠেন বড় অবলম্বন। নগরভবন ঠিকানা না হলেও বর্তমানে মহানগরীর মানুষ এখন তাকে ‘ভবিষৎ মেয়র’ বলেই সম্বোধন করে। সুখে-দুঃখে, আপদে-বিপদে ছুটে যায় তার কাছে। সাদিকও নিরাশ করেন না বিপদে পড়া তার প্রিয় নগরবাসীকে।

সাদিক মনে করেন, আমি রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান। আমার দাদা, বাবা সবাই বরিশালের মাটিতে রাজনীতি করেছে। আমিও তাদের বাইরে নই। আমি কোন কুট রাজনীতি বুঝি না। ওই রাজনীতি করতেও চাই না। দেশ ও বরিশালের উন্নয়নের জন্য কোন কাজই আমি ভয় পাই না। আমি জনগনের মাঝেই থাকতে চাই। জনগনের শ্রদ্ধা-ভালোবাসা নিয়েই রাজনীতিতে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই। মানুষের ভালোবাসাকে জীবনের সবচেয়ে বড় অর্জন মেনে নিয়ে বাকি জীবন কাটিয়ে দিতে চাই মানুষের কল্যাণে, দলের কল্যাণে।

 

 

 

 

সম্পর্কিত পোস্ট

সাতলায় বিএনপির সভাপতি-সম্পাদকের বিরুদ্ধে আ’লীগ নেতা মিজানকে অর্থের বিনিময়ে দলীয় সনদপত্র প্রদান করার অভিযোগ

banglarmukh official

তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গ্রাম পুলিশের বসত ঘরে ভাংচুর

banglarmukh official

এসএসসি পরীক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ উপহার দিলো ছাত্রদল

banglarmukh official

আইন-বিধি মেনে কাজের গতি বাড়ানোর তাগিদ

banglarmukh official

আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যার বিচার ৭ দিনের মধ্যে শুরু হবে: আইন উপদেষ্টা

banglarmukh official

শুক্রবার কক্সবাজার যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিব

banglarmukh official