সরকারি নির্দেশ অমান্য করায় বরিশাল নগরীর গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেছে জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসনের নির্বাহী হাকিম নাজমূল হুদা লকডাউন কার্যকরে গোটা নগরী চষে বেড়ান। এসময়ে শহীদ নজরুল ইসলাম সড়ক (পুলিশ লাইন্স), নথুল্লাবাদ, চৌমাথা, কাঠপট্টি, নতুনবাজার, ফলপট্টি, কাউনিয়া ও কাশিপুর এলাকায় অনিয়মকারীদের আইনের আওতায় এনে ২৮ হাজার ৫ শ টাকা জরিমানা করেন।
জেলা প্রশাসনের মিডিয়া সেল জানিয়েছে, অভিযানে কাউনিয়া এলাকায় ইসমাইল ও জাহিদ লকডাউন অমান্য করায় ৫শ’ টাকা করে জরিমানা করা হয়। রনি নামে এক ব্যক্তি মোবাইল কোর্টের কর্মকান্ড ভিডিও করায় অপরাধে ২০০০ টাকা জরিমানা করা হয়। ইউনুস নামে এক ব্যক্তিকে অপ্রয়োজনীয় দোকান খোলা রেখে জনসমাগম করায় ১০০০ টাকা জরিমানা করা হয়। নতুনবাজার এলাকায় অপ্রয়োজনীয় দোকান খোলা রেখে জনসমাগম করায় ৩ দোকানকে মোট ৪০০০ টাকা জরিমানা করা হয়।
চৌমাথা এলাকায় কয়েকটি ইলেকট্রনিক্স দোকানে জনসমাগম করায় ৩টি দোকানকে ৭৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়। কাঠপট্টি এলাকায় দোকান খোলা রেখে জনসমাগম করায় মামুনকে ৫০০০ টাকা ও ফোরকানকে ৮০০০ টাকা জরিমানা করা হয়।
অন্য একটি দোকানে অধিক জনসমাগম ছিল কিন্তু আইন শৃঙ্খলা বাহিনী গেলে দোকান খোলা রেখে পালিয়ে যায়। তাদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু না আসায় বাজার কমিটির মৌখিক অনুরোধের প্রেক্ষিতে সিলগালা করা হয়। এছাড়াও বেশ কয়েকটি স্পটে টিসিবির পণ্য বিক্রয়ে ক্রেতাদের দীর্ঘ লাইনে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করা হয়। অভিযানের পাশাপাশি সচেতনামূলক কার্যক্রম হিসেবে বেশ কয়েকটি স্থানে মাস্ক বিতরণ করেন নাজমুল হুদা।
আর পুরো অভিযানে শৃঙ্খলা রক্ষায় সহযোগিতা করেন র্যাব-৮’র এএসপি মুকুর চাকমার নেতৃত্বাধীন একটি টিম।