পবিত্র লাইলাতুল কদর বা শবে কদর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রমজান মাস যে কারণে বিশেষ মর্যাদার পেয়েছে তার অন্যতম ‘লাইলাতুল কদর’ বা কদরের রাত। আল্লাহ মহিমান্বিত এই রাতে কোরআন নাজিল করেছেন এবং রাতকে হাজার মাসের চেয়ে মর্যাদাবান ঘোষণা করেছেন।
পবিত্র কোরআন ও সহীহ-হাদীস দ্বারা লাইলাতুল কদরের গুরুত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
পবিত্র কোরআন, নির্ভরযোগ্য হাদিস এবং রাসূলুল্লাহ সা:-এর লাইলাতুল কদরের জন্য গৃহীত কর্মতৎপরতা লাইলাতুল কদরের গুরুত্ব বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে।
পবিত্র কোরআনে কদরের রাত সম্পর্কে বলা হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই আমি কোরআন অবতীর্ণ করেছি মহিমান্বিত রজনীতে; আর মহিমান্বিত রজনী সম্বন্ধে তুমি কী জান? মহিমান্বিত রজনী সহস্র মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ।
সেই রাতে ফেরেশতারা ও রুহ অবতীর্ণ হয় প্রত্যেক কাজে তাদের প্রতিপালকের অনুমতিক্রমে। শান্তিই শান্তি, সেই রজনী ঊষার আবির্ভাব পর্যন্ত।
’ (সুরা কদর, আয়াত : ১-৫)
শবে কদরের রাতে যেসব ইবাদত করতে পারেন
টিভি দেখা এবং মোবাইলে কথা বলা থেকে বিরত থাকুন। পবিত্রতা অর্জন করে পরিষ্কার পোশাক পরিধান করুণ। বেশি বেশি নফল নামাজ পড়ুন। কোরআন পাঠ করুন।
সুবহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহু আকবার জিকির করুন। কালেমা পড়ুন। ইস্তেগফার (‘আস্তাগফিরুল্লা হাল্লাজি লা ইলাহা ইল্লা হুওয়াল হাইয়্যুল কইয়্যুমু ওয়া আতুবু ইলায়হি)পড়ুন। বেশি বেশি দুরুদ পড়ুন। দুয়া ইউনুস (লা ইলাহা ইল্লা আনতা সুবহানাকা ইন্নি কুনতু মিনাজ জোয়ালিমীন) পড়ুন।
লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ বেশি বেশি পড়ুন। সূরা ইখলাস পড়ুন। রাত ২ টা থেকে ৩ টা পর্যন্ত তাহাজ্জুদ পড়ুন।