স্লামডগ মিলিয়নিয়ার’, ‘লাইফ অব পাই, ‘জুরাসিক ওয়ার্ল্ড, ‘দ্য অ্যামেজিং স্পাইডারম্যান– এর মতো চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। ভারতীয় চলচ্চিত্রের এক মহীরূহই ছিলেন তিনি। ইরফান খানের মৃত্যু কাঁদিয়ে যাচ্ছে গোট উপমহাদেশকে। অভিনয়কে অন্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া এই মানুষটির জীবনের একটা গল্প আপনাকে চমকে দিতেই পারে। অভিনেতা হয়ে ওঠার আগে তিনি ছিলেন দারুণ এক ক্রিকেটার। ব্যাট–বল নিয়ে নিজের স্বপ্নটাকে ছড়িয়ে দিতে ভারতের বিখ্যাত ঘরোয়া ক্রিকেট প্রতিযোগিতা সিকে নাইডু ট্রফিতে খেলার সুযোগও পেয়ে গিয়েছিলেন।
কিন্তু মাত্র ৬০০ রুপি জোগাড় করতে পারেননি বলে সে স্বপ্ন পূরণ হয়নি তাঁর।
ভারতের ইংরেজি দৈনিক টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়াকে ইরফান এ কথা বলেছিলেন নিজেই। এ তথ্যটিই আজ আবার সবাইকে মনে করিয়ে দিয়েছে টাইমস অনলাইন।
টেলিগ্রাফের সঙ্গে সেই সাক্ষাৎকারে ইরফান বলেছিলেন, ‘আমি ক্রিকেট খেলতাম। ক্রিকেটারই হতে চেয়েছিলাম। জয়পুরে আমার দলের সবচেয়ে কম বয়সী অলরাউন্ডার ছিলাম আমি। ক্রিকেটেই ক্যারিয়ার গড়ব, এমন ভাবনাই ভেবে রেখেছিলাম। সিকে নাইডু ট্রফিতে খেলার জন্য আমি নির্বাচিত হয়েছিলাম। ওই সময় আমার ৬০০ রুপির দরকার ছিল কিন্তু আমি বুঝতে পারছিলাম না ওটা কার কাছ থেকে নেব। সেদিন থেকেই সিদ্ধান্ত নিলাম। আর ক্রিকেট নয়। এমনকি কারও কাছে ৬০০ রুপি চাইনি পর্যন্ত।’
অভিনয়য়ের প্রতিও আগ্রহ ছিল। এরপরই তিনি ভর্তি হয়ে যান ন্যাশনাল স্কুল অব ড্রামায়। সেখানে অবশ্য তাঁকে ৩০০ রুপি খরচ করতে হয়েছিল সেই সময়। সে অর্থ জোগাড় করে দিয়েছিলেন তাঁর এক বোন