করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে দেশে নতুন করে যে লকডাউন আরোপ করা হয়েছে সেটি কার্যকর হয়েছে বুধবার ভোর থেকে। সরকারের পক্ষ থেকে এটিকে কঠোর লকডাউন হিসেবে বর্ণনা করা হচ্ছে।
বুধবার (১৪ এপ্রিল) ভোর থেকে কঠোর লকডাউন কার্যকর করার জন্য পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় তৎপর রয়েছে। ভোর সাড়ে ছয়টায় দেখা গেছে, শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় পুলিশ চেক পোস্ট বসিয়েছে।
এসব চেকপোস্টে গাড়ি থামিয়ে যাত্রীদের পরিচয় এবং রাস্তার বের হবার কারণ জিজ্ঞেস করা হচ্ছে। যেসব পেশার মানুষ জরুরি সেবার সাথে সম্পৃক্ত তাদের চেকপোস্ট অতিক্রম করার অনুমতি দিয়ে অন্যদের ফিরিয়ে দেয়া হচ্ছে। বহু রাস্তা বেরিকেড বসিয়ে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। সেসব রাস্তায় জরুরি সেবা সংস্থার কোন যানবাহনও যেতে পারছে না, যেতে হচ্ছে বিকল্প রাস্তায়।
এ দফায় কঠোর লকডাউন কার্যকর করতে সরকারের ১৩ দফা বিধি নিষেধে বলা হয়েছে, অতি জরুরি প্রয়োজন ব্যতীত (ঔষধ ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি কেনা, চিকিৎসা সেবা, লাশ দাফন এবং টিকা কার্ড নিয়ে টিকার জন্য যাওয়া) কোনোভাবেই বাড়ির বাইরে বের হওয়া যাবে না।
এজন্য ‘মুভমেন্ট পাস’ ছাড়া কাউকে বাড়ির বাইরে আসতে দেয়া হবে না বলে পুলিশ জানিয়েছে। তবে ভোরে বিভিন্ন চেকপোস্টে দেখা গেছে রাস্তায় চলাচলকারীদের কাছে পুলিশ ‘মুভমেন্ট পাস’ দেখতে চায়নি।