এপ্রিল ২১, ২০২৫
Bangla Online News Banglarmukh24.com
অর্থনীতি করোনা জাতীয়

ছুটিতে ১৮ অফিস খোলা, স্বাস্থ্যবিধি মেনে কলকারখানা চালুর সুযোগ

করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সরকারি-বেসরকারি অফিসে সাধারণ ছুটির মেয়াদ ৫ মে পর্যন্ত বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। তবে এবার অন্যান্য জরুরি সেবার পাশাপাশি ১৮টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কার্যক্রম ঢাকা ও সারা দেশে সীমিত পর্যায়ে খোলা থাকবে। এ ছাড়া ওষুধশিল্প, উৎপাদন ও রপ্তানিসহ সব কলকারখানা কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করে চালু রাখতে পারবে।

আজ বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে দুটি পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এতে বলা হয় সাধারণ ছুটিকালীন ঢাকাসহ সব বিভাগ এবং জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ১৮টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ খোলা থাকবে। এই অফিসগুলো হলো, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, কৃষি, বাণিজ্য, খাদ্য ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য সেবা, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ, জননিরাপত্তা বিভাগ, সুরক্ষা সেবা বিভাগ, তথ্য মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগ, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, নৌপরিবহন, সমাজকল্যাণ, মহিলা ও শিশু বিষয়ক এবং মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রণালয়।

প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয় অন্য সব সরকারি অফিসের কর্মকর্তারা এই সময়ে আবশ্যিকভাবে নিজ নিজ কর্মস্থলে অবস্থান করবেন।

যা যা ছুটির আওতার বাইরে
অন্যদিকে ছুটির প্রজ্ঞাপনে বলা হয়,জরুরি সেবা যেমন ;বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস ও অন্যান্য জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, বন্দরগুলোর ( স্থল, নদী ও সমুদ্র বন্দর) কার্যক্রম, পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম, টেলিফোন, ইন্টারনেট, ডাক সেবা এবং সংশ্লিষ্ট সেবাকাজে নিয়োজিত যানবাহন ও কর্মীরা এই ছুটির বাইরে থাকবেন। সড়ক ও নৌপথে সব ধরনের পণ্য পরিবহনের সঙ্গে নিয়োজিত যানবাহন (ট্রাক, লরি, কার্গো ভেসেল ইত্যাদি) চলাচল অব্যাহত থাকবে।

এ ছাড়া কৃষিপণ্য, সার, কীটনাশক, খাদ্য, শিল্প পণ্য, রাষ্ট্রীয় প্রকল্পের মালামাল, কাঁচাবাজার, খাবার, ওষুধের দোকান, হাসপাতাল ও জরুরি সেবা এবং এসবের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মীদের ক্ষেত্রে এই ছুটি প্রযোজ্য হবে না। চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত চিকিৎসক ও কর্মী, ওষুধসহ চিকিৎসা সরঞ্জামাদি বহনকারী যানবাহন ও কর্মী এবং গণমাধ্যমে ( প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক) নিয়োজিত কর্মীরা এই ছুটির আওতাবহির্ভুত থাকবেন।

এ ছাড়া ওষুধশিল্প, উৎপাদন ও রপ্তানিসহ সব কলকারখানা কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করে চালু রাখতে পারবে।

পরিস্থিতি বিবেচনা করে পরবর্তীতে শিল্প কারখানা, কৃষি ও উৎপাদন এবং সরবরাহব্যবস্থার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রগুলো ও গণপরিবহন পর্যায়ে উন্মুক্ত করা হবে। ছুটির সময় কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখা যাবে না। তবে জরুরি কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত অফিসগুলো খোলা থাকবে। এ ছাড়া মানুষের প্রয়োজন বিবেচনায় বাংলাদেশ ব্যাংক সীমিত আকারে ব্যাংকিং ব্যবস্থা চালু রাখার প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেবে।

এবারের ছুটি নিয়ে পাঁচ দফায় ছুটি বাড়ানো হলো। করোনাভাইরাসের কারণে প্রথম দফায় ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি দেওয়া হয়েছিল। এরপর ছুটি বাড়িয়ে তা ১১ এপ্রিল করা হয়। ছুটি তৃতীয় দফা বাড়িয়ে করা হয় ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত। এরপর চতুর্থ দফায় ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি বাড়ানো হয়। এবার পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে পঞ্চম দফায় ছুটি বাড়ল।

সম্পর্কিত পোস্ট

আইন-বিধি মেনে কাজের গতি বাড়ানোর তাগিদ

banglarmukh official

আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যার বিচার ৭ দিনের মধ্যে শুরু হবে: আইন উপদেষ্টা

banglarmukh official

শুক্রবার কক্সবাজার যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিব

banglarmukh official

শিশু আছিয়ার মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক, দ্রুত বিচার নিশ্চিতের নির্দেশ

banglarmukh official

২০২৬ সালেই বাংলাদেশকে এলডিসি থেকে উত্তরণ করা হবে

banglarmukh official

জাতিসংঘ মহাসচিব ঢাকায়

banglarmukh official