কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা মামলায় বৃহস্পতিবার পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ঘোষণা হয় সালমান খানের। ২০ বছর আগের এই মামলার সাজা ঘোষণার পরই তাকে যোধপুর সেন্ট্রাল জেলের ২ নম্বরে ঘরে পাঠানো হয়। বৃহস্পতিবার রাত জেলের ২ নম্বর ঘরেই কাটে বলিউড ‘ভাইজান’-এর।
জেলের মধ্যে সালমান কেমন সুবিধা পাবেন সে ব্যাপারে আগেই জানিয়েছিলেন যোধপুরের ডিআইজি (কারা) বিক্রম সিং। তিনি বলেছিলেন, সালমানকে কোনো ভিআইপি ব্যবস্থা দেওয়া হবে না। অর্থাৎ, বিলাসবহুল বিছানা ছেড়ে জেলের মধ্যে কাঠের খাটের উপর ঘুমনোর ব্যবস্থা হয় সালমানের। কিন্তু, বৃহস্পতিবার জেলের মেঝেতে শুয়েই রাত কাটান বলিউডের এই তারকা অভিনেতা। সেই সঙ্গে জেলে প্রথম রাত কাটানোর জন্য সালমানকে ৪টি কম্বল দেওয়া হয়। কিন্তু, কোনো কিছু তিনি ব্যবহার করেননি। পাশাপাশি রাতে জেলের কোনো খাবারই তিনি খাননি।
উল্লেখ্য, ১৯৯৮ সালে ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’ সিনেমার শুটিংয়ের সময় যোধপুরের কঙ্কনি গ্রামে ২টি বিরল প্রজাতির হরিণকে লক্ষ্য করে গুলি চালান সালমান। ওই সময় তার সঙ্গী ছিলেন সইফ আলি খান, নীলম, টাবু এবং সোনালী বেন্দ্রে। কিন্তু, সালমানের হাত থেকে গুলি চলেছিল, এই অভিযোগেই শেষ পর্যন্ত যোধপুর সেন্ট্রাল জেল সালমানকে হাজতবাসের নির্দেশ দেন। সেই সঙ্গে বাকিদের বেকসুর বলে ঘোষণা দেন আদালত।