সিরিয়ায় মার্কিন জোটের হামলার নিন্দা জানিয়ে নিরাপত্তা পরিষদে রাশিয়ার উত্থাপিত প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে পাশ্চাত্যের দেশগুলো। শনিবার মস্কোর আহ্বানে পরিষদের জরুরি বৈঠক বসলেও তাতে কোনো সমাধান আসেনি।
এর মধ্যেই সিরিয়ায় অভিযান পরিচালনায় পাশে থাকায় মিত্রদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। দেশটিতে আবারো রাসায়নিক হামলার ঘটনা ঘটলে আসাদ সরকারকে চড়া মূল্য দিতে হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছে ওয়াশিংটন। তবে সিরিয়ায় মার্কিন হামলার প্রতিবাদে খোদ যুক্তরাষ্ট্রে বিক্ষোভ অব্যাহত আছে।
সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের হামলার বিষয়ে শনিবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের জরুরী বৈঠকের আহ্বান করে রাশিয়া। বৈঠকে দামেস্কে হামলা চালানোর জন্য নিন্দা প্রস্তাব উত্থাপন করে মস্কো।
সদস্য দেশগুলোর আলোচনার পর নিন্দা প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ। বৈঠকে সিরিয়ায় হামলার পক্ষে সাফাই গায় যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা। ১৫ সদস্য দেশের মধ্যে কেবলমাত্র চীন এবং বলিভিয়া রুশ প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়।
জাতিসংঘে যুক্তরাজ্যের প্রতিনিধি কারেন প্রিস বলেন, ‘এটা বিশ্বাস করতেই কষ্ট হচ্ছে যে, রাসায়নিক হামলার পক্ষে কয়েকটি দেশ কথা বলছে। অবৈধ অস্ত্র ব্যবহার করে নিরপরাদ মানুষ হত্যার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়াতে যুক্তরাজ্য বেআইনি কিছু দেখতে পায় না।’
অন্যদিকে যৌথ হামলার সফলতা নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। তবে এই হামলায় যুক্তরাজ্যের অংশগ্রহণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ বিরোধী দল লেবার পার্টি। সিরিয়ায় হামলার বিষয়ে নিজেদের অবস্থানের কথা জানিয়েছে মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগন। রাসায়নিক হামলার বিষয়টি নিশ্চিত হয়েই সিরিয়ায় হামলা চালানো হয় বলে পেন্টগন জানিয়েছে।
পেন্টাগন আরো জানায়, কোনো সন্দেহ নেই সিরিয়ায় রাসায়নিক হামলা চালিয়েছে আসাদ সরকার। এটি নিশ্চিত হয়েই যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা শুক্রবার রাত থেকে শনিবার ভোর পর্যন্ত প্রায় ৭ ঘণ্টায় পাল্টা ব্যবস্থা নিয়েছে। এতে সব জায়গাতেই সফলভাবে হামলা চালাতে পেরেছি।’
এদিকে টুইট করে পশ্চিমা মিত্রদের এক হয়ে কাজ করার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। অন্যদিকে সিরিয়ায় আবারো রাসায়নিক হামলা চালানো হলে তার জন্য আসাদ সরকারকে আরো চড়া মূল্য দিতে হবে বলে হুশিয়ার করেছেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স।
মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স বলেন, ‘সিরিয়ায় সফল অভিযান চালানোর জন্য আমি মার্কিন এবং মিত্র বাহিনীকে ধন্যবাদ জানায়। সেই সঙ্গে বলতে চাই, সিরিয়ায় আবারো রাসায়নিক হামলা চালানো হলে, তার জন্য আসাদ সরকারকে আরো চড়া মূল্য দিতে হবে।’
এরই মধ্যে সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলার প্রতিবাদে হোয়াইট হাউসের সামনে বিক্ষোভ করেছেন যুদ্ধবিরোধীরা। তারা সিরিয়ায় হামলা চালানোর অনুমতি দেওয়ার জন্য প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কঠোর সমালোচনা করেন।