33 C
Dhaka
এপ্রিল ২৪, ২০২৫
Bangla Online News Banglarmukh24.com
অপরাধ প্রচ্ছদ প্রশাসন বরিশাল

স্ত্রীকে ঘরছাড়া করলেন বরগুনার ইউএনও

বরগুনার আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সরোয়ার হোসেন যৌতুক এবং বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে নানা কার্যক্রম চালান। কিন্তু তিনি নিজেই বিয়ের সময় যৌতুক নিয়েছেন।

যৌতুক নেয়ার প্রমাণ (ব্যাংকে টাকা জমা দেয়ার রসিদ) রয়েছে। ইউএনওর শ্বশুরবাড়ির অভিযোগ, বিয়ের পর সরোয়ার ধাপে ধাপে যৌতুক নিয়েছেন। এখন আরও ৫০ লাখ টাকার জন্য চাপ দিচ্ছেন শ্বশুর-শাশুড়িকে।

টাকার জন্য স্ত্রীকে নির্যাতনও করছেন। এসব অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলায় ইউএনও সরোয়ারের সঙ্গে তার মা জান্নাতুল ফেরদৌসকে আসামি করা হয়েছে।

গত ১৭ এপ্রিল রাজধানীর চিফ মেট্রোপলিটন আদালতে মামলা করেন সরোয়ারের স্ত্রী রুকসানা আক্তার। আদালত আগামী ২৭ মে সরোয়ার ও তার মাকে হাজির হতে সমন জারি করেছেন।

ইউএনও সরোয়ারের শ্বশুর মুহাম্মদ সাদেক জানান, মেয়ে রুকসানা আক্তারকে সরোয়ারের সঙ্গে বিয়ে দেয়ার সময় নগদ এক লাখ টাকা ও বিভিন্ন ইলেকট্রনিক সামগ্রী দিই। পরে ছয় দফায় আইএফআইসি ব্যাংক লিমিটেড শরীয়তপুর শাখার হিসাব নং-১০৯২৪৮৪৫৫৫০৩১-এর বিপরীতে ওই ব্যাংকের ঢাকার ধানমণ্ডি শাখার মাধ্যমে যৌতুক বাবদ চার লাখ টাকা দিই।

এছাড়া সরোয়ারের বড় ভাই তরিকুল ইসলামের নামে ভোলা পৌরসভার মার্কেটে দোকান বরাদ্দ নেয়ার জন্য ভোলার ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের অ্যাকাউন্টের বিপরীতে ওই ব্যাংকের ঢাকার ধানমণ্ডি শাখার মাধ্যমে এক লাখ টাকা দিই।

মুহাম্মদ সাদেক আরও জানান, যৌতুকের টাকার জন্য বিয়ের পর থেকেই সরোয়ার ও তার পরিবারের সদস্যরা রুকসানা আক্তারকে মানসিক নির্যাতন করতে থাকেন। নতুন চাকরি এবং বেতন কমের অজুহাতে বিয়ের পর দীর্ঘ চার বছর সরোয়ার তার স্ত্রী রুকসানা আক্তারকে সঙ্গে রাখেননি। স্বামীর সঙ্গে থাকতে রুকসানা আক্তার চাকরি ছেড়ে গত বছরের ৪ আগস্ট স্বামীর কর্মস্থল ফরিদপুরের সদরপুরে যান।

কিন্তু সরোয়ার ও তার মা জান্নাতুল ফেরদৌস বিষয়টি স্বাভাবিকভাবে নেননি। এরপরই তারা যৌতুক হিসেবে আরও ৫০ লাখ টাকা অথবা ঢাকায় ফ্ল্যাট বা প্লট কিনে দেয়ার দাবি জানান। পাশাপাশি ঢাকায় তার (রুকসানার বাবা) বর্তমান ফ্ল্যাটটির অর্ধেক সরোয়ারের নামে লিখে দেয়ার জন্য চাপ দিতে থাকেন।

রুকসানার পরিবার সূত্র জানায়, সরোয়ারের নামে ফ্ল্যাট লিখে দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় গত ৮ জানুয়ারি রাতে বাবার (মুহাম্মদ সাদেক) সামনেই রুকসানাকে তার শাশুড়ি ধাক্কা মেরে ফেলে দেন। এরপর থেকে রুকসানা আক্তার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।

রুকসানার পরিবার সূত্র আরও জানায়, গত ৯ জানুয়ারি আমতলীর ইউএনও সরোয়ার হোসেন বাসার পিয়নের মাধ্যমে স্ত্রী রুকসানার ব্যবহারের কিছু মালামালসহ তাকে (রুকসানা) ইউএনওর গাড়িতে (শোরুম নং-ঢাকা ১৪৮/অ) করে ঢাকার উদ্দেশে বরিশাল পৌঁছে দেন। আমতলী থেকে স্ত্রীকে ঢাকায় পাঠিয়ে দেয়ার পর গত তিন মাস তিনি স্ত্রীর কোনো খোঁজ নেননি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউএনও সরোয়ার হোসেন বলেন, বিষয়টি একান্তই আমার পারিবারিক বিষয়। আমার স্ত্রী রুকসানা মামলা দায়েরের পর আমার মা (জান্নাতুল ফেরদৌস) আমতলী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি চুরির মামলা করেছেন। ওই মামলায় আমার স্ত্রী, শ্বশুর মুহাম্মদ সাদেক, শাশুড়ি শিরিন আকতার ও শ্যালক ইমতিয়াজ বেল্লাল জিসানকে আসামি করা হয়েছে। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনা চলছে। আশা করছি, সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

সম্পর্কিত পোস্ট

সাতলায় বিএনপির সভাপতি-সম্পাদকের বিরুদ্ধে আ’লীগ নেতা মিজানকে অর্থের বিনিময়ে দলীয় সনদপত্র প্রদান করার অভিযোগ

banglarmukh official

তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গ্রাম পুলিশের বসত ঘরে ভাংচুর

banglarmukh official

এসএসসি পরীক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ উপহার দিলো ছাত্রদল

banglarmukh official

আইন-বিধি মেনে কাজের গতি বাড়ানোর তাগিদ

banglarmukh official

মাগুরায় ধর্ষণের শিকার সেই শিশু মারা গেছে

banglarmukh official

জাতিসংঘ মহাসচিব ঢাকায়

banglarmukh official