কক্সবাজারের সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদির বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাকেও ছাড় দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, বদির বেয়াই যেমন ছাড় পায়নি, ঠিক তেমনি আওয়ামী লীগ, বিএনপি যে দলেরই হোক কেউ রেহাই পাবে না।
ঈদকে সামনে রেখে শনিবার দুপুরে আশুলিয়ার বাইপাইল বাসস্ট্যান্ড এলাকার আব্দুল্লাহপুর ও নবীনগর চন্দ্রা মহাসড়কের সার্বিক পরিস্থিতি পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে মন্ত্রী এসব বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, সারাদেশে সরকার মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছে। তাই মাদকের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক অভিযান শুরু করেছে র্যাব এবং পুলিশ। এই অভিযানে রাজনৈতিক মতলবে একটি মহল খুশি না হতেও পারে। কিন্তু দেশের মানুষ অনেক খুশি। কারণ এদেশের তরুণ সমাজ মাদকের কারণে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, আজকে মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গা স্রোতের মত দেশে সুনামির মত মাদক ঢুকে পড়েছে পাড়া মহল্লায়। এই অবস্থায় জনগণ এরকম একটি অভিযান চেয়েছে। মাদক ব্যবসায়ীদের তালিকা করা হচ্ছে এবং তদন্ত করে র্যাব ও পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে।
বন্দুকযুদ্ধ সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, মাদক ব্যবসায়ীদদের সঙ্গে সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোও যুক্ত। এদের কাছে অস্ত্র রয়েছে। তাই যখনই আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গ্রেফতারে যাচ্ছে, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে লক্ষ্য গুলি ছুড়ছে। এখন পর্যন্ত আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আত্মরক্ষা করেছে মাত্র।
তিনি বলেন, গুলি চালায় এটাই বন্দুকযুদ্ধ। মাদক ব্যবসায়ীরা কোটি কোটি টাকার ব্যবসা করে, তাই তাদের কাছে অস্ত্র থাকে।
আগামী অক্টোবর মাসে আব্দুল্লাহপুর থেকে আশুলিয়ার ডিইপিজেড পর্যন্ত সাড়ে আটশ কোটি টাকা ব্যয়ে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ শুরু হবে বলেও জানান মন্ত্রী।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন নির্বাহী প্রকৌশলী সুজব আহম্মেদ, সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ রাসেল হাসান, ঢাকা জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাভার সার্কেল, খোরশেদ আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইদুর রহমান, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক হাসান তুহিন, আশুলিয়া থানা যুবলীগের সাবেক প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন খাঁন, পরিবহন শ্রমিক লীগের সভাপতি ইমাম হোসেন প্রমুখ।