সানসাইন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্রী তাসফিয়া আমিনের ‘হত্যাকাণ্ডের’ অন্যতম অভিযুক্ত আদনান মির্জাকে গাজীপুরের কিশোর সংশোধনী কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সাথে সংশোধনী কারাগারের পরিচালকের উপস্থিতিতে জিজ্ঞাসাবাদ করে ১০ কর্ম দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেয়ার জন্যও পুলিশকে নির্দেশনা দিয়েছেন আদালত।
রবিবার এ আদেশ দেন চট্টগ্রাম মহানগরের অতিরিক্ত দায়রা জজ জান্নাতুল ফেরদাউস চৌধুরী।
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের সহকারি কমিশনার (প্রসিকিউশন) কাজী সাহাবুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘তাসফিয়া হত্যাকাণ্ডে আদনান মির্জাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। আদালত শুনানী শেষে আদনানকে গাজীপুরের কিশোর সংশোধনী কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। একই সাথে সংশোধনী কারাগারের পরিচালকের উপস্থিতিতে জিজ্ঞাসাবাদ করে ১০ কর্ম দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দেন।’
আলোচিত এ ‘হত্যাকাণ্ডের’ পাঁচ দিন অতিবাহিত হয়ে গেলেও এখনো বেশির ভাগ আসামিকেই গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এমনকী তাসফিয়া খুন হয়েছেন নাকি আত্মহত্যা করেছেন তা নিয়েও দোদুল্যমান রয়েছে। রহস্যভেদ করতে পারেনি কার সাথে তাসফিয়া পতেঙ্গা সৈকতে গিয়েছিল, তার খোয়া যাওয়া মোবাইল ও স্বর্ণের আংটি কার হাতে রয়েছে এসব বিষয়ের।
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের কর্ণফুলী জোনের সহকারি কমিশনার জাহেদুল ইসলাম বলেন, ‘তদন্ত অনেক দুর এগিয়েছে। আশা করছি দু একদিনের মধ্যে ভালো খবর দিতে পারব।’
প্রসঙ্গত, গত ২ মে নগরীর পতেঙ্গা সৈকত এলাকা থেকে সানসাইন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্রী তাসফিয়া আমিনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহতের পরিবারের অভিযোগ স্কুল ছাত্রীর ‘প্রেমিক’ নির্যাতনের পর হত্যা করে। এ ঘটনায় নিহতের বাবা মোহাম্মদ আমিন বাদি হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় কথিত প্রেমিক আদনান মির্জাসহ ছয় জনকে আসামি করা হয়।