কর্মসূচিতে না যাওয়ায় ও গেস্টরুমে দেরি করে উপস্থিত হওয়ায় মধ্যরাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তত ৩৫জন ছাত্রকে পিটিয়েছে ছাত্রলীগ কর্মীরা। বুধবার দিবাগত রাত ১১টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মাসুদ লিমনের অনুসারীরা এই ঘটনা ঘটায়।
জানা যায়, বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম সমন্বয় পরিষদের এক বিক্ষোভ সমাবেশ ছিল। হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লিমন এই কর্মসূচিতে তার অনুসারীদের যাওয়ার নির্দেশ দেন। কিন্তু প্রথম বর্ষের কম সংখ্যক অনুসারী ওই কর্মসূচিতে হাজির হন। এতে রাতে ১১টায় হলের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রলীগ কর্মীরা হল সাধারণ সম্পাদক লিমনের নির্দেশনা ছাড়াই হলের ২০৮ নম্বর কক্ষে গেস্টরুমে আহ্বান করেন। ওই গেস্টরুমে প্রথম বর্ষের কয়েকজন দেরি করে উপস্থিত হন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ছাত্রলীগ কর্মীরা উপস্থিত প্রায় ৩৫জনের সবাইকে এলোপাতাড়ি লাথি, কিল, ঘুষি মারতে থাকেন। মুনতাসির, স্মরণ, মাহিন, ইসতিয়াক, আলআমিন, সজীব, সাকিন এদের নেতৃত্বে আরও কয়েকজন ছাত্রলীগকর্মী প্রথম বর্ষের ছাত্রদের থেমে থেমে দেড় ঘণ্টা ধরে মানসিক ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করেন। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা মারধরের কথা স্বীকার করেছেন।
মারধরকারী ইংরেজি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের মুনতাসির, পপুলেশন সাইয়েন্স বিভাগের স্মরণ ও হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লিমন ছাত্রদের মারধর করার কথা স্বীকার করেন।
এ বিষয়ে হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মাসুদ লিমন বলেন, রমজান মাসে গেস্টরুম করার নির্দেশ ছিল না। ছাত্রদের মারধর করা ঠিক না। আমি এ ব্যাপারে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নিব।
এ বিষয়ে হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক জিয়া রহমান ও প্রক্টর অধ্যাপক গোলাম রাব্বানীকে একাধিকবার ফোন দেয়া হলেও তারা রিসিভ করেন নি।