ক্যাম্পাস প্রতিনিধি; ই এম রাহাত ইসলামঃ বিশ্ব সভ্যতা আজ একটি ক্ষুদ্র ভাইরাসের কাছে হার মেনেছে। কত উন্নত প্রযুক্তি -আবিস্কার কোন কিছুই তার সাথে তাল মিলাতে পারছে না।বিশ্বের সব বড় বড় বিজ্ঞানীরা দিন রাত এক করে কাজ করে যাচ্ছেন। এখন পর্যন্ত কোন কার্যকরী ঔষধ আবিষ্কার হয়নি। ক্ষুদ্র এই ভাইরাস পুরো বিশ্ব দাপিয়ে বেড়াচ্ছে।কোন কিছুই তাদের থামাতে পারছেনা। বিশ্ব আজ ধ্বংস স্তূপে পরিণত হয়েছে। চারদিকে শুধু মৃত্যু আর লাশের মিছিল। বিশ্ব আজ এক অনিশ্চিয়তার দিকে ক্রমাগত হেটে যাচ্ছে। কবে শেষ হবে এই সংকট কেউ জানে না। সকল কাজ কর্ম আজ স্থবির হয়ে আছে, ঘুরছেনা অর্থনীতির চাকাও। এই মহামারী সংকটের মধ্যে একদল মানুষ দিন রাত এক করে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। সকল মানুষ আজ ঘরে অবস্থান করলেও তাদের ঘরে থাকার উপায় নেই। পর্দার আড়ালে থেকেও আলো হয়ে আছেন কিছু কিছু মানুষের অন্তরে, তেমনি একজন ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ইংরেজি বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী ডা, জয়ফুল আক্তার৷ ইংরেজি সাহিত্য পড়াশুনার পাশাপাশি অর্জন করে নেন হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শাস্ত্রের উপর ডিএইচএমএস সার্টিফিকেট৷ ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ইংলিশ এ্যলামনাই এসোসিয়েশনের আহবায়ক জনাব শাহ আলম চৌধুরী হিমু জানান- আমরা ডিআইইউ ইংলিশ পরিবারের পক্ষ হতে সাধারণ মানুষের জন্য চালু করেছি টেলিমেডিসিন সেবা৷ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে সবসময় সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য এ সেবা সম্প্রসারিত করেছি৷ তিনি সরাসরি করোনা আক্রান্ত মানুষের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। পাশাপাশি অনলাইনে বিভিন্ন বিষয় চিকিৎসা ও পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত। ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ইংলিশ এ্যালামনাই এসোসিয়েশনের সার্বিক সহযোগিতায় তিনি অজস্র মানুষের পাশে দাড়িয়েছেন। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় কাজ করছে ডাক্তার জয়ফুল আক্তার ও তার দল।রাজধানীর মিরপুরের শাহ আলী থানার বিপরীতে সমতা একাডেমিতে প্রায় ১৫ দিন ব্যাপী মেডিক্যাল ক্যাম্প করেন যৌথভাবে। মহাখালীর ওয়ারলেস এলাকায়ও যৌথ ক্যাম্প পরিচালনা করেন। এসব মেডিক্যাল ক্যাম্প গুলোতে সাধারণত লক্ষন ভিত্তিক সেবা দিয়েছেন। যেমন- সাধারণ জ্বর, ঠান্ডা, কাশি যাদের আছে তাদেরকে প্রাথমিকভাবে ঔষধ দিয়েছেন। সব গুলো লক্ষন বিবেচনা করে ঔষধ দিয়েছেন। মারাত্মক কোন সমস্যা থাকলে টেস্ট করাতে বলছেন। তাছাড়া সাধারণ মানুষের পক্ষে টেস্ট করানো অনেক সময়ই দুরূহ ব্যাপার। অনেকে আবার টেস্ট করাতে গিয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে ঘুরতে ঘুরতেই মারা যাচ্ছেন।