উজিরপুরে দুই গার্মেন্টস কর্মী ও বানারীপাড়ায় এক এনজিও কর্মকর্তার শরীরে প্রানঘাতী করোনা ভাইরাস (কেভিড-১৯) শনাক্ত হয়েছে। উজিরপুরের আক্রান্তদের একজনের বাড়ী উপজেলার গুঠিয়া ইউনিয়নের বারইকান্দি গ্রামে ও অন্যজনের বাড়ী বামরাইল ইউনিয়নের পূর্ব ধামসর গ্রামে।
তাদের একজন ঢাকায় সাভারের একটি গার্মেন্টসে অন্যজন চিটাগং এর একটি তোয়ালে ফ্যাক্টরিতে কাজ করতো। বরাইকান্দী গ্রামের গার্মেন্টস কর্মী (৩৮) ঢাকার সাভার থেকে ও অপরজন পূর্ব ধামসর গ্রামের গার্মেন্টস কর্মী(৩০) চিটাগং থেকে দু’জনেই ১৫ মে শুক্রবার বাড়ীতে আসে। তারা দু’জনে ১৬ মে শনিবার জ্বর ও গলাব্যাথা নিয়ে বরিশাল শেবাচিম হাসাপাতেলে গিয়ে নমুনা পরীক্ষা করে বাড়ী চলে আসে। ১৭ মে রবিবার রাত সাড়ে ১০ টায় তাদের পরীক্ষার ফলাফল পজিটিভ আসে। এ দুই গার্মেন্টস কর্মীই পুরুষ।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছে উজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: শওকত আলী। তিনি জানান, তারা দু’জনে নিজ বাড়ীতে আইশোলেসনে চিকিৎসাধীন রয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রনতি বিশ্বাস জানান, ওই দুই ইউনিয়নে যানবাহন সহ সকলের চলাফেরা সীমিত করা হয়েছে। শনাক্তদের বাড়ীসহ আশেপাশের কিছু বাড়ী লকডাউন করা হয়েছে।
এ নিয়ে এ উপজেলায় ৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। ইতিমধ্যে তিনজন সুস্থ হয়ে বাড়ী ফিরেছেন। নতুন দুই জন সহ ৩ জন চিকিৎসাধীন রয়েছে। এদিকে বানারীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.এস এম কবির হাসান জানান বানারীপাড়ার ফায়ার সার্ভিসের সামনে গ্রামীণ কল্যাণ নামের একটি বেসরকারী এনজিওর ম্যানেজার আবু আহম্মেদ(৪৫) জ্বর ও শ্বাস কষ্টে আক্রান্ত হলে তার নমুনা সংগ্রহ করে ১৩ মে ঢাকায় আইডেসিতে পাঠানোর পরে সেখান থেকে ১৫ মে পরীক্ষার ফলাফল নেগেটিভ আসে।
কিন্তু ১৬ মে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে পরীক্ষায় ১৭মে তার পজেটিভ করোনা শনাক্ত হয়। তিনি আরও জানান এর আগে বানারীপাড়ায় উদয়কাঠির তেতলা গ্রামে এর আগে দুই মা-মেয়ে করোনা রোগের চিকিৎসা নিয়ে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছে। এদিকে বানারীপাড়া ও উজিরপুরে নতুন করে ৩জন করোনা রোগে আক্রান্ত হওয়ায় জনমনে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।