বরিশাল নগরীর তিন তারকা হোটেলসহ আধুনিক সাতটি আবাসিক হোটেলে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা সেবাদানকারী চিকিৎসক, নার্স, টেকনোলজিস্ট ও স্বাস্থ্যকর্মীদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। চিকিৎসা সেবাদানকারীদের পরিবারের সদস্যদের সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে এ ব্যবস্থা নিয়েছে জেলা প্রশাসন।
আবাসিক হোটেলগুলো হচ্ছে- গ্রান্ড পার্ক, স্যাডোনা, এরিনা, এথেনা, হোটেল ইস্টার্ন, হোটেল আলী ইন্টারন্যাশনাল এবং রোদেলা।
শুক্রবার (১ মে) থেকে ১০ জন চিকিৎসক তিন তারকা আবাসিক হোটেল গ্রান্ড পার্কে থাকতে শুরু করেছেন। এছাড়া হোটেল স্যাডোনায় উঠেছেন ২৭ জন চিকিৎসক এবং নার্স । পর্যায়ক্রমে অন্যান্য হোটেলগুলোতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের সেবাদানকারী চিকিৎসক-নার্সসহ অন্যান্যরা উঠবেন বলে জানা গেছে।
জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমান জানান, করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সামনে থেকে যুদ্ধ করছেন চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। জেনেশুনে মারাত্মক ভাইরাসের সবচেয়ে কাছে যাচ্ছেন তারা। ঝুঁকিও বেশি তাদের। তারা হাসপাতালের বাইরে কিংবা অন্য কোথাও থাকলে সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। পাশাপাশি সেবাদানকারী চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের মাধ্যমে তাদের পরিবারের সদস্যদেরও সংক্রমণের ঝুঁকি রয়েছে। এ অবস্থায় ঝুঁকি এড়াতে তাদের থাকা-খাওয়ার বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় আগেই তাদের জন্য বাস সার্ভিস চালু করা হয়েছে। শুক্রবার থেকে তিন তারকা হোটেলসহ আধুনিক সাতটি আবাসিক হোটেলে তাদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. এসএম বাকির হোসেন জানান, মেডিকেলের নতুন বর্ধিত ভবনে গত ৯ মার্চ করোনা ইউনিট চালু করা হয়। সেখানে রোগীদের সেবায় চিকিৎসকদের সাতটি দল রয়েছে। প্রতিটি দলে সাতজন চিকিৎসক রয়েছেন। এছাড়া প্রতি দলের সঙ্গে চারজন নার্স ও একজন করে পরিচ্ছন্নতা কর্মী কাজ করে যাচ্ছেন। থাকা-খাওয়ার বিশেষ ব্যবস্থার কারণে চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা উপকৃত হবেন।