৪নং ওয়ার্ডটিকে মাদকমুক্ত ও একটি আধুনিক বাসযোগ্য ওয়ার্ডে রূপ দিতে চাই শুধু প্রতিশ্রুতি নয়, এবার হবে উন্নয়ন কাউন্সিলর, তৌহিদুল ইসলাম বাদশা
আসন্ন বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মনোনয়নপত্র বাছাই ও প্রতীক বরাদ্দের আগেই জমে উঠেছে বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) নির্বাচনী মাঠ। প্রতিদিন সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত মেয়র ও সাধারণ এবং সংরক্ষিত ওয়ার্ডের সম্ভ্রাব্য কাউন্সিলর প্রার্থীদের প্রচারে অনেকটাই সরব হয়ে উঠেছে নগরীর ৩০টি ওয়ার্ড। প্রতিক বরাদ্দের আগেই কাউন্সিলর প্রার্থীরা এলাকাবাসীর দরজায় কড়া নাড়ছে। তেমনই ৪নং ওয়ার্ডে সাধারন মানুষের পছন্দের তালিকায় আবারো রয়েছেন জনপ্রিয় কাউন্সিলর তৌহিদুল ইসলাম বাদশা ।
৪নং ওয়ার্ডে সাধারণ মানুষ বলছে তৌহিদুল ইসলাম বাদশা সব সময়ই বিপদে আপদে তাদের পাশে ছিলেন, করেছেন ওয়ার্ডের উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন ভাবে সাহায্যে ও সহযোগিতা। ওয়ার্ডে জনগনের ভালোবাসায় গতবার বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন।
এলাকাবাসী বলছেন, মানব সেবা, সমাজ ও এলাকার উন্নয়ন এবং বিপদে আপদে সর্বদা মানুষের পাশে থাকার কারনে তিনি একাধিক বার কাউন্সিলর পদে নির্বাচিত হয়েছেন। এলাকার উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে তিনি রেখেছেন অসামান্য অবদান। সেই আদর্শ ধরে রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সেবা ও আধুনিক নাগরিক সুবিধার মডেল ওয়ার্ড গড়ে তোলার লক্ষ্যে পরিবর্তনের অঙ্গিকার নিয়ে নিরসল কাজ করে যাচ্ছেন।
৪নং ওয়ার্ডে জনপ্রিয় কাউন্সিলর তৌহিদুল ইসলাম বাদশা এর কাছে ওয়ার্ডের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মাস্টারপ্ল্যানের মাধ্যমে পরিবর্তনের অঙ্গিকার নিয়ে আমার ওয়ার্ডটিকে একটি আধুনিক বাসযোগ্য ওয়ার্ডে রূপ দিতে চাই। শুধু প্রতিশ্রুতি নয়, এবার হবে উন্নয়ন! আমাদের প্রধানমন্ত্রী নৌকা প্রতিক দিয়ে কৃষক কুলের নয়নের মনি (সাবেক মন্ত্রী) আবদুরবর সেরনিয়াবাত এর কনিষ্ঠ পুত্র ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্নেহের ছোট ভাই খোকন সেরনিয়াবাতকে বরিশালে পাঠিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর সু-দৃষ্টি রয়েছে এই বরিশালবাসীর দিকে। বরিশালকে আধুনিকায়ন ও পরিকল্পিত বসবাসের উপযোগী হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষে যেভাবে পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন, তার সাথে সামঞ্জস্য রেখে আমি ৪নং ওয়ার্ডকে এবার সুন্দর-সুশৃঙ্খল সর্বাধুনিক ওয়ার্ড হিসেবে গড়ে তুলতে চাই ও মাদক মুক্ত করতে চাই।
তিনি বলেন, আমাকে সব সময়ই ৪নং ওয়ার্ডের প্রতিটি মানুষ ২৪ঘন্টাই ডাক দিলেই পাশে পেয়েছেন । আমি আমার স্থান থেকে সকলকে ভালোবেসে ওয়ার্ডবাসীর মনে জায়গা করে নিয়েছি। তাই ওয়ার্ডের প্রতিটি মানুষ আমাকে ভোট দিয়ে বিপুল ভোটে নির্বাচিত করেছে। এবারও করবে ।
তিনি আরও বলেন, আমি আগেরবার নির্বাচিত হয়ে সাধ্যমতো চেষ্টা করেছি এলাকাবাসী ও মহল্লা মানুষের প্রতি সেবা পোঁছে দিতে। বিসিসি থেকে যতোটুকু বাজেট পেয়েছি ও নিজ অথ্যায়নে করেছি রাস্তা ও সেবামূলক কার্যক্রম। রাস্তা-ঘাটসহ ড্রেনেজ ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন এনেছি। ওয়ার্ড প্রতিটি মানুষকে নাগরিক সেবা,ওয়ারিশ সনদ , নাগরিক সনদ ,বিভিন্ন সরকারী বেসরকারি ভাতা, বিভিন্ন ধর্মীয় উৎসবে করেছি সহযোগিতা।
যে কোনো সমস্যা সমাধানে আমার আন্তরিকতার কমতি ছিল না। যে কোনো সংকট সমস্যায় সর্বসাধারণ সব সময় পাশে পেয়েছে আমাকে। মহামারী করোনায় যতোটুকু পেরেছি জনগনের পাশে দাড়িয়েছি। জনগণের সেবার আদর্শ নিয়েই আমি রাজনীতি করি এবং করে যাবো। প্রতিশ্রুতি নয়, উন্নত নাগরিক সেবার মডেল ৪নং ওয়ার্ড হিসাবে গঠন করতে চাই । সবাইকে সাথে নিয়ে অতীতে যেমন আমি কাজ করে গিয়েছি এবারও একসাথে ওয়ার্ডের উন্নয়নে কাজ করে যাওয়ার প্রত্যাশা আমার।
৪ নং ওয়ার্ডের স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, আমাদের এ কাউন্সিলর একজন জনকল্যাণমুখী মানুষ। জনসেবা আর উন্নয়নের বাইরে কোনো চিন্তা নেই তার। কোন লাভের লোভই উনাকে স্পর্শ করতে পারে না। জনসাধারণের সেবার মান নিশ্চিত করা ও সকলের প্রতি ঐকান্তিক ভালবাসায় আমাদের কাউন্সিলর তৌহিদুল ইসলাম বাদশা ভাই সকলের কাছে প্রিয় মানুষ। সবার সমস্যা সমাধানে উনার আন্তরিক উদারতায় মানুষের মনে স্থায়ী জায়গা করে নিয়েছেন। যিনি নিরন্তন উন্নয়নের স্বার্থে দিনের পর দিন কাজ করে যাচ্ছেন এবং আগামীতে স্বপ্ন দেখেন কিভাবে ৪নং ওয়ার্ডকে আরো সুন্দর-সৃশৃঙ্খল সর্বাধুনিক ওয়ার্ড হিসেবে গড়ে তোলা যায়। এই স্বপ্নই তাকে কাজে উৎসাহিত করার প্রেরণা দিচ্ছে। স্বপ্ন ও পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়নের জন্য সকলের সার্বিক সহযোগীতা ও দোয়া নিয়ে কাজ করতে চান ।