বরিশাল সিটি নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দের আগেই নির্বাচনী প্রচার চালানোর বিষয়ে জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী ইকবাল হোসেন তাপসকে সাধারণ ক্ষমা করেছে নির্বাচন কমিশন।
তাপস বিধি লঙ্ঘন করেছে মর্মে তথ্য উঠে এলেও প্রথমবার হিসেবে গৌন বিবেচনা করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বুধবার (১৭ মে) বিষয়টি রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে।
নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের নির্বাচন পরিচালনা-২ অধিশাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-সচিব আতিয়ার রহমান সাক্ষরিত চিঠিতে ইকবাল হোসেন তাপসকে বিষয়টি অবহিত করা হয়।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, সিটি কর্পোরেশন (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা ২০১৬ এর ৫ নম্বর বিধি অনুযায়ী কোনো মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে প্রতীক বরাদ্দের আগে নির্বাচনী প্রচারণা নিষিদ্ধ। বিধিমালার ২২ নম্বর বিধি অনুযায়ী সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি নির্বাচন-পূর্ব সময়ে নির্বাচনি প্রচারণায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না। ১১ মে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এবং সংসদে বিরোধী দলীয় উপ-নেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের, মজিবুল হক চুন্নু ইকবাল হোসেন তাপসের নির্বাচনী প্রচারণা করেছেন। যা বিধি লঙ্ঘন।
এই পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্তে উপনীত হয় সিটি কর্পোরেশন (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা ২০১৬ এর ৫ ও ২২ বিধির ব্যত্যয়ে, তাপসের প্রার্থিতা বাতিল হওয়ার যোগ্য। তবে নির্বাচন কমিশন নমনীয় দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করে বিষয়টিকে বিধি-লঙ্ঘণের প্রথম এবং গৌণ ঘটনা বিবেচনা করে সিটি কর্পোরেশন (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৬ এর ৩২(২) নং বিধির দায় থেকে ইকবাল হোসেন তাপসকে অব্যাহতি দিয়ে আচরণ-বিধি মেনে চলার পরামর্শ দেয়।
এ বিষয়ে তাপসের কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি।