করোনাভাইরাসের কারণে দুই মাস ধরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। ১৫ এপ্রিল থেকে ২৪ এপ্রিলের মধ্যে প্রাথমিকের প্রথম সাময়িক পরীক্ষা হওয়ার কথা থাকলেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়ায় তা বাতিল করা হয়েছে। দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষা আয়োজন নিয়েও অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
তবে এবার করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলেও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সাময়িক পরীক্ষা নেওয়া হবে। বাসায় বসে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নেওয়ার চিন্তা করছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
শিক্ষকরা প্রশ্ন তৈরি করে শিক্ষার্থীদের বাসায় পাঠাবেন। সেসব খাতা শিক্ষকরা মূল্যায়ন করে খাতা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের কাছে ফলাফল পৌঁছে দেবে। এজন্য বেশকিছু স্বেচ্ছাসেবী নিয়োগ দেওয়া হবে বলে জানা গেছে।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষার রুটিনে দেখা গেছে, প্রথম শ্রেণি থেকে ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত প্রথম সাময়িক পরীক্ষা ১৫ এপ্রিল থেকে ২৪ এপ্রিলের মধ্যে, দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষা ৯ আগস্ট থেকে ২০ আগস্টের মধ্যে, প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা ১৯ নভেম্বর থেকে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া প্রথম শ্রেণি থেকে ৪র্থ শ্রেণি পর্যন্ত বার্ষিক পরীক্ষা ২ ডিসেম্বর থেকে ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আকরাম-আল-হোসেন বলেন, গত ১৫ এপ্রিল থেকে ২৪ এপ্রিলের মধ্যে প্রাথমিকের প্রথম সাময়িক পরীক্ষা হওয়ার কথা থাকলেও তা স্থগিত করা হয়েছে। দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষা আগামী ৯ আগস্ট থেকে শুরু করার কথা থাকলেও তা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এই কারণে শিক্ষার্থীরা যাতে বাসায় বসে পরীক্ষা দিতে পারে সে ব্যবস্থা করা হবে।
তিনি বলেন, শ্রেণি ক্লাসের টেলিভিশনে যেসব বিষয়ে পাঠদান হয়েছে তার ওপর ভিত্তি করে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা তাদের শিক্ষার্থীদের জন্য প্রশ্নে প্রণয়ন করবে। সেসব প্রশ্ন নির্ধারিত স্বেচ্ছাসেবীদের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের বাড়ি পাঠানো হবে। স্বেচ্ছাসেবীদের মাধ্যমে উত্তরপত্রগুলো শিক্ষকদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে। শিক্ষকরা খাতা মূল্যায়ন করে মোবাইল এসএমএসের মাধ্যমে সাময়িক পরীক্ষার ফলাফল জানিয়ে দেবে।
দ্রুত এ বিষয়টি বাস্তবায়ন করা হতে পারে বলেও জানান সচিব আকরাম আল হোসেন।