কেউ যদি একজন রোজাদারকে ইফতার করায় সে নিজের রোজার সঙ্গে আরেকটি রোজার সওয়াব পাবে। যাকে ইফতার করানো হয়েছে তার সওয়াব সামান্য পরিমাণও কমানো হবে না।
জায়েদ ইবনে খালেদ আল-জুহানি (রাঃ) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো রোজাদারকে ইফতার করাবে সে রোজাদারের সমপরিমাণ সওয়াব পাবে; রোজাদারের সওয়াব থেকে একটুও কমানো হবে না।’ (তিরমিজি, হাদিস নং: ৮০৭; ইবনে মাজাহ, হাদিস নং: ১৭৪৬; ইবনে হিব্বান: ৮/২১৬) এক্ষেত্রে অনেকেই সামর্থ্যের ভয় করে থাকেন।
অর্থাৎ কত টাকার ভেতর ইফতার করাবেন বা এমনটা সবসময় করা সম্ভব কিনা ইত্যাদি নিয়ে চিন্তিত থাকেন। সালমান (রা.) বর্ণিত এক হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি এ মাসে কোনো রোজাদারকে ইফতার করাবে, এর দ্বারা তার গুনাহ ক্ষমা করা হবে এবং তাকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেওয়া হবে। আর রোজাদারের সমপরিমাণ নেকি তাকে দান করা হবে, অথচ রোজাদারের প্রাপ্য নেকি একটুও কমানো হবে না।’
সাহাবাগণ জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসুল! আমাদের মধ্যে সবার তো রোজাদারকে ইফতার করানোর মতো সামর্থ্য নেই! রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, ‘যে কেউ কোনো রোজাদারকে একটি মাত্র খেজুর দিয়ে বা পানি পান করিয়ে অথবা এক ঢোক দুধ দিয়ে ইফতার করাবে, মহান আল্লাহ তাকে এই সওয়াব দান করবেন।’
তাই আমাদের উচিত সাধ্যমতো প্রতিদিন অন্তত একজন গরিব-মিসকিন, অসহায় কিংবা সামর্থ্যবানকে ইফতার করানো এবং নিজের রোজার পাশাপাশি রোজা পালনের সওয়াব লুফে নেওয়া। আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে হাদিসের ওপর আমল করার তৌফিক দিন। আমিন।