বগুড়া জেলা ভিক্ষুকমুক্ত করতে এবং ভিক্ষাবৃত্তিকে নিরুৎসাহিত করতে পুনর্বাসনের কাজ শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। শারীরীকভাবে কাজ করতে পারে এমন ভিক্ষুকদের ভিক্ষাবৃত্তি থেকে নিরুৎসাহিত করতে তাদের হাতে রিকশা ভ্যান তুলে দেওয়া হয়েছে। আবার কাউকে কউকে দেয়া হচ্ছে প্রশিক্ষণ গড়ে দেয়া হয়েছে মনোহারির দোকান।
ভিক্ষার হাত হোক কর্মের হাতিয়ার, এ লক্ষ্যে সরকার সারা দেশে ভিক্ষুক মুক্ত করার কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে বগুড়াকে ভিক্ষুক মুক্ত অঞ্চল গড়ে তোলার কাজ শুরু করেছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নূরে আলম সিদ্দিকী। ইতিমধ্যেই ৬ শতাধিক ভিক্ষুককে পূনর্বাসন করা হয়েছে এবং এই প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
জেলা প্রশাসন সুত্রে জানা গেছে, ৭ হাজার ২৯১ জন ভিক্ষুকের তালিকা করা হয়েছে। তাদের নিয়েই প্রাথমিক কাজ শুরু হয়েছে। এর বাহিরে কিছু ভিক্ষুক রয়েছে যাদের স্থায়ী কোন ঠিকানা নেই তারা একস্থান থেকে অন্য স্থানে ভিক্ষাবৃত্তি করে থাকে। তাদের তালিকা তৈরী হচ্ছে পর্যায়ক্রমে। পুরুষ সক্ষম ভিক্ষুকদের রিকশা-ভ্যান, মনোহারির দোকান করে দেওয়া হয়েছে। ভিক্ষাবৃত্তিকে নিরুৎসাহিত করতে নারী ও পুরুষ ভিক্ষুকদের ক্ষুদ্র ব্যবসা, গরু-ছাগল, ভেড়া, হাঁস-মুরগি, সেলাই মেশিন প্রদান করে হচ্ছে এবং এটি চলমান থাকবে। তাদের প্রশিক্ষণ দেয়ার পর উপকরণ সমূহ হাতে তুলে দেয়া হচ্ছে। এছাড়া যারা বয়সের কারণে কোন কাজ করতে পারবে না তাদের বয়স্কভাতা সহ অন্যান্য ভাতা প্রদান করা হবে।
এদিকে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নূরে আলম সিদ্দিকীর উদ্যোগে জেলাকে ভিক্ষুুকমুক্ত করার মধ্যে দিয়ে ভিক্ষুকদের কর্মে ফিরে নিয়ে আসা, পুর্নবাসন করা এবং এই পেশাকে নিরুৎসাহিত করতে প্রশাসন কাজ করছে। এরই ধারাবাহিকতায় রবিবার বগুড়া জেলা প্রশাসক কার্যালয় চত্বরে সরকারি যাকাত তহবিল থেকে ভিক্ষুক পূনর্বাসনে ভ্যান গাড়ি বিতরণ করেন জেলা প্রশাসক। ১২ জনকে ভ্যান গাড়ি প্রদান করে তিনি।
বগুড়ার এনডিসি ডালিম সরকার জানান, জেলা প্রশাসক মহোদয়ের সার্বিক তত্বাবধানে ভিক্ষুকমুক্ত বগুড়া গড়ার কাজ চলছে। জেলায় ৬ শতাধিক ভিক্ষুককে ইতিমধ্যেই পুনর্বাসন করেছে জেলা প্রশাসন।
বগুড়া জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নূরে আলম সিদ্দিকী জানান, ভিক্ষাবৃত্তি একটি স্বাধীন জাতির জন্য মর্যাদাহানিকর। বগুড়া জেলাকে ভিক্ষুক মুক্তকরণ কর্মসূচি চলছে। ভিক্ষুকদের স্বাবলম্বি করে গড়ে তুলতে সরকার বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। তাদের পুনর্বাসন কাজ অব্যহত থাকবে। পর্যায়ক্রমে আরো ভিক্ষুকদের পুনর্বাসন করা হবে।