যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে নির্যাতন করে চুল কেটে ঘরে বন্দি করে রাখার অভিযোগে স্বামী ওমর ফারুকের নামে বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছেন স্ত্রী ফাতেমা আক্তার সুমি।
বুধবার (১৭ মে) সকালে ওই ট্রাইব্যুনালের বিচারক ও জেলা জজ মো. মশিউর রহমান খান মামলাটি গ্রহণ করে বরগুনা ডিএন কলেজের অধ্যক্ষকে সাতদিনের মধ্যে অনুসন্ধান প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছেন।
আসামিরা হলেন- বরগুনা সদর উপজেলার রায়েরতবক গ্রামের আবদুল মালেক মুন্সীর ছেলে ওমর ফারুক। তার বাবা আবদুল মালেক মুন্সী ও ওমর ফারুকের মা হাসিনা বেগম। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশেষ পিপি মোস্তাফিজুর রহমান।
জানা যায়, ফাতেমা আক্তার সুমি বাদী হয়ে ওই ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ করেন ওমর ফরুকের সঙ্গে ২০১৩ সালের ১১ জুলাই তার বিয়ে হয়। তাদের তিনটি সন্তান আছে।
মঙ্গলবার দুপুরে ওমর ফারুক তার কাছে ব্যবসা করার জন্য ৫ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। সুমি যৌতুক দিতে অস্বীকার করলে ওমর ফারুক তাকে কিল, ঘুষি, লাথি ও লাঠি দিয়ে অমানুষিক নির্যাতন করেন। ওমর ফারুকের বাবা-মাও তাকে এলোপাতাড়ি পিটাতে থাকেন।
সুমি বলেন, আমার স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়ি যৌতুকের দাবিতের আমাকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। পরে ঘরের মধ্যে আটকে রেখে আমার মাথার চুল কেটে দেয় ওমর ফারুক। আমার দুইটি মেয়ে নুসরাত জাহান (৯) ও ইসরাত জাহানকে (৬) রেখে তারা আমাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়।
পরে আমি বাবা জলিল মৃধার সঙ্গে বাবার বাড়িতে চলে আসি। আমি ২ মে থেকে ৫ মে পর্যন্ত বরগুনা সদর হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম। আমি ওমর ফারুকের সঙ্গে আপস করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হই। ১৬ তারিখ বরগুনা থানায় মামলা করতে গেলে ওসি মামলা নেয়নি। পরে ট্রাইব্যুনালে মামলা করি।
বরগুনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আহম্মদ বলেন, এ ব্যাপারে থানায় কেউ মামলা করতে আসেনি।