বরিশাল নগরী সংলগ্ন কীর্তনখোলা নদীতে জ্বালানি তেলের ট্যাংকারে আগুন লেগে দগ্ধ হওয়া মুহাম্মদ রুবেল (৩১) মারা গেছেন। রোববার (১৪ মে) রাতে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (১১ মে) কীর্তনখোলা নদীর পূর্ব প্রান্তে জ্বালানি তেলের ট্যাংকারে আগুন লেগে দগ্ধ হন রুবেল। তিনি রাউজান উপজেলার পশ্চিম গুজরা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের হাছি মিয়ার ছেলে। তার এক ছেলে ও এক মেয়ে সন্তান রয়েছে।
বরিশাল ফায়ার সার্ভিস স্টেশন সূত্রে জানা গেছে, এমটি এবাদি-১ নামের ট্যাংকারটি মেঘনা ডিপোর তেল পরিবহন করত। ট্যাংকারটি কীর্তনখোলার পূর্বপ্রান্তে (নগরীর মুক্তিযোদ্ধা পার্কের বিপরীতে) নোঙর করা ছিল। বৃহস্পতিবার বিকেলে হঠাৎ সেটিতে আগুন ধরে যায়।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বিস্ফোরণ থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। ট্যাংকারটিতে ১৬ জন কর্মচারী ছিলেন। বেশির ভাগ নদীতে লাফিয়ে প্রাণে রক্ষা পেলেও স্বাধীন (২৪) ও বাবুল কান্তি দাশ (৬৪) নামে দুজনের দগ্ধ মরদেহ পাওয়া যায়।
পশ্চিম গুজরা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. জামাল উদ্দিন জানান, তেলবাহী জাহাজে আগুন লেগে রুবেল দগ্ধ হন। পরে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। মরদেহ রাউজান আনার প্রক্রিয়া চলছে।