মেহেন্দিগঞ্জে বিয়ের প্রলোভনের ফাঁদে পা দিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়ে ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা যুবতী স্ত্রীর মর্যাদা পেতে প্রবাসি আক্কাসের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। সোমবার বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে যুবতী মামলাটি দায়ের করেন। ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোঃ আবু শামীম আজাদ শুনানী শেষে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন প্রেরণের নির্দেশ দেন।
মামলায় অভিযুক্ত আক্কাস গৌরনদীর ডুমুরিয়া এলাকার কাদেরের ছেলে। ট্রাইব্যুনাল সূত্র জানায়, মেহেন্দিগঞ্জের ওই যুবতীর সাথে প্রবাসি আক্কাসের মোবাইল ফোনে পরিচয় ঘটে। পরিচয়ের সূত্র ধরে আক্কাস বিদেশ থেকে ফিরে সরাসরি ওই যুবতীর বাসায় যায়।
সেখানে সে যুবতীকে বিয়ে করার জন্য তার পিতামাতাকে প্রস্তাব দেয়। পিতামাতা সম্মত হলে আক্কাস যুবতীকে বলে প্রথমে নোটারি পাবলিক আদালতের মাধ্যমে হলফনামা তৈরী করে পরে ইসলামী শরা-শরিয়ত মতে রেজিস্ট্রি কাবিনমূলে বিয়ে করতে হবে।
২০১৭ সালের ১৯ অক্টোবর ওই যুবতীকে নিয়ে আক্কাস বরিশাল নোটারি পাবলিক আদালতে হাজির হয়। সেখানে আক্কাস যুবতীকে তাদের স্থানীয় ইমাম সাহেবের মাধ্যমে বিয়ে হয়েছে বলে মিথ্যা কথা বলতে বলে।
পরে গত ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত আক্কাস যুবতীর সাথে প্রতারণা মূলকভাবে তাকে ধর্ষণ করে। যুবতী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে সে আক্কাসকে কাবিন রেজিস্ট্রির মাধ্যমে বিয়ে করার জন্য চাপ দেয়।
এতে আক্কাস যুবতীকে বিয়ে করার কথা অস্বীকার করে। এছাড়া আক্কাসের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলে সে যুবতীকে খুন জখমের হুমকী দেয়। এঘটনায় মামলাটি দায়ের করলে বিচারক ওই নির্দেশ দেন।