এপ্রিল ২৫, ২০২৫
Bangla Online News Banglarmukh24.com
করোনা জেলার সংবাদ ঢাকা রাজণীতি

মেয়ের কান্না দেখে অঝোরে কাঁদলেন গাজীপুর মেয়র

সাত বছরের ছোট্ট জারা। দিন শেষে বাবা ফিরবে। তারপর বাবার সঙ্গে খুনসুটিতে মেতে উঠবে। বাবার সঙ্গে নানা খেলায় মেতে ওঠা। বাবার গলা জড়িয়ে ঘুমিয়ে থাকা। এগুলোই ছিল হাসিখুশি জারার প্রাত্যহিক রুটিন। বাবার সঙ্গে মেয়ের এই হৃদ্যতা অনেকদিন নেই। কারণ, বাবা তাকে ছেড়ে মানুষ বাঁচানোর যুদ্ধে। দীর্ঘ দুই মাস পর বাবা কাছে এসেছিল। কিন্তু কাছে থেকেও যেন অনেক দূরে। গাড়ি থেকে নামতে পারলেন না। বাবা-মেয়ের মাঝখানে যেন এপার-ওপার তারকাঁটা। গলায় জড়িয়ে ধরা যাবে না, ছোঁয়া যাবে না। কারণ, বাবা যে যুদ্ধে আছেন, সেখান থেকে একেবারে বিজয়ী না হওয়া পর্যন্ত কেউ কাউকে ধরা যায় না।

জারার বাবা অ্যাডভোকেট মো. জাহাঙ্গীর আলম। তিনি গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র। ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের পর গাজীপুর হয়ে ওঠে করোনাভাইরাসের হটস্পট। নাগরিকদের রক্ষায় জারাসহ পরিবার-পরিজন দূরে রেখে জাহাঙ্গীর নেমে পড়েন মানুষ বাঁচানোর যুদ্ধে। করোনাভাইরাস ঠেকানোর লড়াইয়ে গিয়ে আদুরে মেয়েটির মায়াও ছাড়তে হয় তাকে।

অপরদিকে, ছোট্ট জারা কী আর এতসব বোঝে! সে শুধু বোঝে, তার বাবা দ্রুতই ফিরবে। আবার তাকে বুকে জড়িয়ে নেবে। গালে চুমু খাবে। খেলা আর খুনসুটিতে মেতে উঠবে বাবা-মেয়ের আদুরে প্রাঙ্গণ।

আজ যখন মেয়ের খুব কাছাকাছি গেলেন নিজেকে খুব শক্তভাবে সামলানোর চেষ্টা করেন জাহাঙ্গীর আলম। কিন্তু শেষপর্যন্ত পারলেন না চোখের জল আটকে রাখতে। দূর থেকে বাবা-মেয়ের দেখাদেখি তৈরি করে এক আবেগঘন পরিবেশ। তারপর জাহাঙ্গীর আবার চলে আসেন মেয়ের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে।

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র এবং মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকানোর ক্ষেত্রে ইতোমধ্যে গাজীপুর দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে যাচ্ছে। প্রথমদিকে ভয়াবহ সংক্রমণের পথে এগোলেও বর্তমানে এর বিস্তার অনেকখানি কমেছে। এর পেছনে মেয়র জাহাঙ্গীরের ভূমিকার বিষয়টি বারবার উঠে আসছে।

স্থানীয়রা বলছেন, মেয়র শুরু থেকে তৎপর না হলে গাজীপুরে কঠিন পরিণতি ভোগ করতে হতো। বিশেষ করে তিনি করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের শুরুর দিকেই নিজস্ব তহবিল থেকে বিপুল পরিমাণ সুরক্ষা সামগ্রী আমদানি করে তা বিভিন্ন হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের মাঝে বিতরণ করেন। এ ছাড়া চিকিৎসার সামগ্রিক বিষয়াদি তদারকি করেন তিনি।

খুবই ছোঁয়াছে রোগ হওয়ায় করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে কাজ করতে গেলে পরিবার-পরিজন থেকে দূরে সরে যাওয়াই স্বাভাবিক। নিজের পরিবারকে সুরক্ষিত রাখতে মেয়র জাহাঙ্গীরও দীর্ঘ দুই মাস ধরে বাইরে অবস্থান করছেন। ফলে তিনি বঞ্চিত রয়েছেন আদুরে কন্যার ভালোবাসা থেকেও। মেয়েও সমানভাবে বাবার স্নেহবঞ্চিত।

সম্পর্কিত পোস্ট

এসএসসি পরীক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ উপহার দিলো ছাত্রদল

banglarmukh official

মাগুরায় ধর্ষণের শিকার সেই শিশু মারা গেছে

banglarmukh official

শিশু আছিয়ার জানাজায় অংশ নিতে মাগুরায় মামুনুল-হাসনাত-সারজিস

banglarmukh official

সোলাইমান সেলিম-জ্যোতি তিনদিনের রিমান্ডে

banglarmukh official

চাচা ডেকে সাবেক প্রতিমন্ত্রী এনামুরকে বিয়ে করেন ফরিদা

banglarmukh official

অটোরিকশায় ছাত্রীর সঙ্গে অশোভন আচরণ, ভিডিও ভাইরাল

banglarmukh official