যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানার বালুন্ডা গ্রামে পরীক্ষার সময় মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে নিষেধ করায় অভিমান করে এক এসএসসি পরিক্ষার্থী গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
বুধবার (৩ মে) বেনাপোল পৌর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামাল হোসেন ভূঁইয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মঙ্গলবার (২ মে) দিনগত রাতে ওই গ্রামে নিজ বাড়িতে ঘরের ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি।
নিহত ব্যক্তি বালুন্ডা গ্রামের জেলে পাড়ার শ্রীরাম মণ্ডলে মেয়ে তন্বী মণ্ডল (১৫)। তিনি বালুন্ডা মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এবছর এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিলেন।
নিহতের পরিবার জানায়, তন্বী মঙ্গলবার রাতে পড়ার সময় মোবাইল ব্যবহার করছিল। এ সময় মোবাইল ব্যবহার করতে দেখে তার মা তাকে বকাবকি করে। এতে তন্বী মায়ের ওপর অভিমান করে নিজ ঘরে ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে।
এদিকে তন্বীর মা বুধবার ভোরে ঘুম থেকে উঠে জানালা দিয়ে ঘরের মধ্যে ফ্যানের সঙ্গে মেয়েকে ঝুলতে দেখেন। এ সময় পরিবারের লোকজনসহ প্রতিবেশীকে ডাকাডাকি করে তন্বীর ঝুলন্ত মরদেহ নিচে নামানো হয়।
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামাল হোসেন ভূঁইয়া জানান, বুধবার ভোরে তন্বী নামে এক এসএসসি পরীক্ষার্থীর আত্মহত্যার সংবাদ পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।পরে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হামপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে কি কারণে আত্মহত্যা করেছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।