এপ্রিল ২৬, ২০২৫
Bangla Online News Banglarmukh24.com
ইসলাম প্রচ্ছদ

রোজায় সর্বাধিক প্রতিদান

রোজা ও রোজাদারের যে ফজিলত কোরআন ও হাদিস শরিফে বর্ণনা করা হয়েছে, অন্য কোনো ইবাদতের ক্ষেত্রে তা বর্ণনা করা হয়নি। রোজার বিস্তারিত বিধিবিধান মহান আল্লাহ স্পষ্টভাবে পবিত্র কোরআনে বর্ণনা করেছেন। এত স্পষ্টভাবে আর কোনো বিধান নিয়ে পবিত্র কোরআনে আলোচনা করা হয়নি। এমনকি নামাজ ও জাকাত সম্পর্কেও এত বিস্তারিত বিধান কোরআনে উল্লেখ নেই। তাই এ কথা দ্বিধাহীনভাবে বলা যায়, রোজাদাররা অনন্য মর্যাদায় অভিষিক্ত। তাঁদের সম্মান ও প্রতিদান অন্য আমলকারীদের চেয়ে অনেক বেশি।

রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি ঈমানের সঙ্গে নেকির প্রত্যাশায় রমজানে রাত জেগে ইবাদত করে, তার অতীতের গুনাহগুলো মাফ করে দেওয়া হয়।’ (বুখারি শরিফ, হাদিস : ৩৭) হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘প্রত্যেক আদম সন্তানের নেক কাজের প্রতিদান ১০ গুণ থেকে ৭০০ গুণ পর্যন্ত বাড়িয়ে দেওয়া হয়। আল্লাহ বলেন, রোজা এর মধ্যে গণ্য হবে না। কেননা

রোজা শুধু আমার জন্য। আমিই এর পুরস্কার দেব। আমার জন্য বান্দা পানাহার ও যৌনবাসনা পরিহার করে। রোজাদারের আনন্দ দুটি। একটি হলো ইফতারের সময়। দ্বিতীয়টি হলো আল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাতের আনন্দ। রোজাদারের মুখের ঘ্রাণ আল্লাহর কাছে মিশকের সুগন্ধির চেয়েও সুগন্ধিময়।’ (মুসলিম শরিফ, হাদিস : ১১৫১, তিরমিজি শরিফ, হাদিস : ৬৫৯)

হাদিসে কুদসিতে এসেছে, ‘মহান আল্লাহ বলেছেন, আদম সন্তানের প্রতিটি কাজই তার নিজের জন্য; শুধু রোজা ছাড়া। কারণ, তা আমার জন্য। তাই আমি নিজে এর পুরস্কার দেব। রোজা ঢালস্বরূপ। রোজা রেখে তোমাদের কেউ যেন অশ্লীলতায় লিপ্ত না হয় এবং ঝগড়া-বিবাদ না করে। যদি কেউ তাকে গালি দেয় অথবা তার সঙ্গে ঝগড়া করতে চায়, তাহলে সে যেন বলে, আমি রোজাদার। যে মহান সত্তার হাতে আমার প্রাণ, তাঁর শপথ! অবশ্যই (অনাহারের কারণে সৃষ্ট) রোজাদারের মুখের ঘ্রাণ আল্লাহর কাছে মিশকের সুগন্ধির চেয়েও সুগন্ধিময়…।’ (বুখারি শরিফ, হাদিস : ১৯০৪, মুসলিম শরিফ, হাদিস : ২৭৬২)

মহানবী (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘রমজান মাসের প্রথম রজনীতে শয়তানদের মজবুতভাবে বেঁধে রাখা হয় এবং অবাধ্য জিনদেরও বন্দি করে রাখা হয়। দোজখের সব দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়। কোনো দরজা পুরো রমজান মাসে খোলা হয় না এবং জান্নাতের সব দরজা খুলে দেওয়া হয়। একটি দরজাও বন্ধ করা হয় না। সঙ্গে সঙ্গে একজন আহ্বানকারী আহ্বান করতে থাকেন—হে সাওয়াব প্রত্যাশীরা, অগ্রসর হও। হে পাপিষ্ঠরা, পাপ থেকে হাত গুটিয়ে নাও। আল্লাহ তাআলা এই পবিত্র মাসের সম্মানার্থে অনেক পাপিষ্ঠকে ক্ষমা করে দেন এবং জাহান্নাম থেকে মুক্তি দান করেন। আর এটা রমজানের প্রতি রাতেই হয়ে থাকে।’ (বায়হাকি, শুআবুল ঈমান, হাদিস : ৩৫৯৭-৯৮)

প্রিয় নবী (সা.) আরো বলেছেন, ‘জান্নাতের একটি দরজাকে বলা হয় রাইয়ান। কিয়ামতের দিন এই দরজা দিয়ে শুধু রোজাদাররা প্রবেশ করবে। তারা ছাড়া এই দরজা দিয়ে অন্য কেউ প্রবেশ করতে পারবে না। বলা হবে, রোজাদাররা কোথায়? তখন রোজাদাররা দাঁড়াবে। তাদের প্রবেশ করতে আদেশ দেওয়া হবে। তারা প্রবেশ করার পর দরজাটি বন্ধ করে দেওয়া হবে। এরপর এই দরজা দিয়ে অন্য কেউ প্রবেশ করতে পারবে না।’ (বুখারি শরিফ, হাদিস : ১৮৯৬)

এভাবেই বহু ফজিলত অর্জন করেন রোজাদার আর অভিষিক্ত হন অনন্য মর্যাদায়।

সম্পর্কিত পোস্ট

আইন-বিধি মেনে কাজের গতি বাড়ানোর তাগিদ

banglarmukh official

মাগুরায় ধর্ষণের শিকার সেই শিশু মারা গেছে

banglarmukh official

জাতিসংঘ মহাসচিব ঢাকায়

banglarmukh official

বরিশালে দুর্ঘটনায় নিহত ২

banglarmukh official

পাকিস্তানে ট্রেনে জিম্মি দেড় শতাধিক যাত্রী উদ্ধার, ২৭ সন্ত্রাসী নিহত

banglarmukh official

পাকিস্তানে যাত্রীবাহী ট্রেন হাইজ্যাক, জিম্মি শতাধিক

banglarmukh official