বরিশালের সদর উপজেলার শায়েস্থাবাদ এলাকায় বরিশাল মেট্রোপলিটন ডিবি পুলিশের সাথে কথিত বন্দুক যুদ্ধে এক ডাকাত নিহত হয়েছে। রবিবার রাত আড়াইটায় এই বন্ধুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। এসময় উদ্ধার করা হয় রামদা, পাইপগান ও গুলি।
ডিবি পুলিশ জানায়, সম্প্রতিকালে শায়েস্থাবাদে ডাকাতি বেড়ে যাওয়ায় রবিবার রাত আড়াইটার দিকে দক্ষিন চর আইচা গ্রামে ডিবি পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার মোঃ নাসির মল্লিকের নেতেৃত্বে পুলিশ পরিদর্শক(প্রশাসন) কাজী মাহবুবুর রহমান, এস আই দেলোয়ার হোসেন (পিপিএম) সঙ্গীয় ফোর্স সহ একটি টিম টহল দিচ্ছিল। পথিমধ্যে দশ/বারজন সদস্যকে দেখতে পেয়ে পরিচয় জানতে চাইলে পুলিশকে লক্ষ করে বেপরোয়াভাবে গুলি ছোড়ে। এসময় পুলিশও নিজেদের আত্মরক্ষা ও সরকারী অস্ত্র-গুলি রক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছোড়ে। ডিবি পুলিশ এসময় সতেরো রাউন্ড সটগানের গুলি বর্ষন করে।
একপর্যায় ডাকাতদল গুলি ছুড়তে-ছুড়তে উত্তর দিক দিয়ে পালিয়ে যায়। এক প্রর্যায়ে তারা পিছু হটলে ঘটনাস্থলে একজনের লাশ পরে থাকতে দেখে এবং সেখান থেকে উদ্ধার করা হয়- একটি রামদা, একটি দেশীয় পাইপগান ও আট রাউন্ড গুলির কার্তুজ । তাৎক্ষনিকভাবে নিহত ব্যক্তির নাম পরিচয় জানা যায়নি। তবে সে ডাকাত দলের সদস্য এমন দাবী করছে পুলিশ।
ডাকাত দলের সাথে ডিবি পুলিশের গুলি-বিনিময়ের ঘটনায় এস আই মোঃ দেলোয়ার হোসেন (পিপিএম), কনস্টেবল মোঃ হাফিজুর রহমান, কনস্টেবল মোঃ রফিকুল ইসলাম ডাকাতের ছোড়া গুলিতে আহত হয়। তাদেরকে বরিশাল বিভাগীয় পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে বলে ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কমিশনার জানান।
আজ দুপুর বারটায় নগরীর আমতলারমোড়স্থ অস্থায়ী পুলিশ কমিশনার কার্যলয়ে এক ব্রিফিংয়ে ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কমিশনার মাহফুজুর রহমান বলেন নিহত ডাকাত সদস্য এর নাম তাৎক্ষনিক জানা না গেলেও পরবর্তীতে জানা গেছে নিহত ডাকাত সদস্য আবুল কাসেমের বাড়ি বরিশাল জেলার মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার শ্রিপুর। কাসেমের বিরুদ্বে ডাকাতি ও ধর্ষন সহ সাতটি মামলা রয়েছে বিভিন্ন থানায়।
এব্যাপারে কাউনিয়া থানায় ডিবি পুলিশ বাদী হয়ে পুলিশের প্রতি আক্রমন, হত্যা ও অস্ত্র উদ্বারের ঘটনায় তিনটি মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি চালাচ্ছে।
এসময় ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কমিশনার মাহফুজুর রহমান মাদক সংক্রান্ত নিমূল করা প্রসঙ্গে বলেন সিমান্ত থেকে মাদক দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় আসছে ওখান থেকে যত সময় পর্যন্ত সেল করা না গেলে একেবারে মাদক নিমূল করা সম্ভব হবেনা।
তারপরও আমরা মাদক নির্মূলে কঠোর অবস্থানে রয়েছি যতদূর পর্যন্ত নিয়ন্ত্রন রাখা সম্ভব। মাদক বাহিনীর সাথে মহানগর পুলিশ বাহিনীর কোন আপোষ নেই।
তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। এছাড়াও মাদক নির্মূলের ক্ষেত্রে প্রশাসনের পাশাপাশি স্থানীয় জনসাধারনের সহযোগীতা কামনা করেন পুলিশ কমিশনার মাহফুজুর রহমান।