সাবেক-বর্তমান মিলিয়ে সশস্ত্র বাহিনীর সহস্রাধিক সদস্য প্রাণঘাতী নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। আজ ২৩ মে, শনিবার বেলা পৌনে বারোটার দিকে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) সহকারী পরিচালক রাশেদুল আলম খান স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তি সূত্র এ তথ্য জানা গেছে।
আইএসপিআর’র বিজ্ঞপ্তি সূত্রে জানা যায়, এখন পর্যন্ত সশস্ত্র বাহিনীর কর্মরত ও অবসরপ্রাপ্ত ১ হাজার ২০ জন ও পরিবারে ৯২ জন এবং সশস্ত্র বাহিনীর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বেসামরিক ও অন্যান্য ২৫২ জনসহ মোট ১ হাজার ৩৬৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
এদের মধ্যে ৯৩৩ জন বিভিন্ন সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন রয়েছেন ও ৪২১ জন সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে স্ব স্ব আবাসস্থলে প্রত্যাবর্তন করেন এবং ভর্তিরত অপর সব রোগী সুস্থ আছেন।
এছাড়া এতে আক্রান্ত হয়ে এদের মধ্যে ১০ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। মৃত ব্যক্তিদের মধ্যে ৬০ বছরের উপরে অবসরপ্রাপ্ত রয়েছেন আটজন এবং দুইজন কর্মরত সেনাসদস্য রয়েছেন। যারা প্রত্যেকেই দীর্ঘদিন যাবত অনিরাময়যোগ্য বিভিন্ন শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন। পরে কোভিড-১৯ এ সংক্রমিত হয়েছিলেন তারা।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর কর্মরত সব সদস্য, তাদের পরিবার ও অবসরপ্রাপ্ত সদস্যদের কোভিড-১৯ এর নমুনা পরীক্ষার জন্য আর্মড ফোর্সেস ইনস্টিটিউট অব প্যাথলজিসহ (এএফআইপি) সব সিএমএইচে মোট ১৩টি ‘আরটি-পিসিআর’ মেশিন প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে।
এছাড়া সব সিএমএইচে পর্যাপ্ত পরিমাণ ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (পিপিই), মাস্ক, গ্লোভস এবং প্রয়োজনীয় ওষুধসহ আনুষাঙ্গিক চিকিৎসা সরঞ্জামাদি মজুদ আছে বলেও এতে উল্লেখ করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত সামরিক বাহিনীর পিসিআর ল্যাবরেটরিতে সশস্ত্র বাহিনীর ৪ হাজার ৩৭৫ জন, পরিবারের ৭৭৪ জন এবং বেসামরিকসহ অন্যান্য ২ হাজার ২৬১ জন সদস্যের মোট ৭ হাজার ৪১০ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সব স্বাস্থ্যবিধি মেনে কোভিড-১৯ সংক্রমিত রোগীদের সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষিত চিকিৎসক দ্বারা সার্বক্ষণিক চিকিৎসা নিশ্চিত করা হচ্ছে বলেও জানানো হয় এতে।