ছোটবেলায় হেঁচকি উঠলে বড়রা বলতেন কেউ মনে মনে তোমার কথা ভাবছে। হেঁচকি উঠলেই এক গ্লাস পানি খেয়ে নিতে বলা হয়। কখনো হঠাৎ চমকে দেবার চেষ্টা করা হয়। সাধারণত এভাবেই হেঁচকি কমানোর চেষ্টা করে থাকি আমরা। তবে কিছু কিছু সময় আসে যখন হেঁচকি উঠলে লজ্জিত বা বিব্রতবর অবস্থায় পড়ে যেতে হয়। যেমন: অফিসে জরুরি মিটিং চলাকালীন সময়ে, কোনো অনুষ্ঠানে খাওয়ার টেবিলে ইত্যাদি। এরকম অবস্থায় হেঁচলি উঠলে স্বস্তি পেতে যা করবেন:
– গ্লাসে পানি নিন। দু’হাতের আঙুল দিয়ে কান বন্ধ করে স্ট্র দিয়ে ধীরে ধীরে পানি পান করুন। দেখবেন হেঁচকি কমে আসছে।
– বোতল থেকে পানি খাবেন না। গ্লাসে পানি নিয়ে পরপর ১০ বার ছোট ছোট চুমুক দিন। এভাবে তালে তালে পানি খেলে হেঁচকি কমে যাবে।
– মুখে হাত চাপা দিন। শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক রাখুন। এতে ফুসফুসে কার্বন-ডাই অক্সাইডের মাত্রা বাড়বে। হেঁচকি কমে যাবে।
– দু’হাতের আঙুল দিয়ে কান বন্ধ করে রাখুন। এতে স্নায়ুতন্ত্রে রিলাক্স করার সংকেত পৌঁছবে। ফলে মধ্যচ্ছদা প্রসারিত হবে। ২০ থেকে ৩০ সেকেন্ড এভাবে কান বন্ধ করে রাখুন। হেঁচকি কমে আসবে।
– বুক ভরে শ্বাস নিন। কিছু ক্ষণ শ্বাস ধরে রাখুন। এতেও শরীরে কার্বন-ডাই অক্সাইডের মাত্রা বাড়বে। মধ্যচ্ছদা প্রসারিত হয়ে হেঁচকি কমে যাবে।
– কয়েক মিনিট জিভ বের করে রাখুন। এতে গ্লটিসের মুখ বড় হবে। শ্বাস-প্রশ্বাস চালাতেও সুবিধা হবে, হেঁচকিও কমে যাবে।