ই এম রাহাত ইসলাম, প্রতিনিধিঃ
‘উন্নত জগত গঠন করুন’ এ সুমহান আদর্শকে সামনে রেখে জাতীয় উন্নয়ন তথা দেশ গড়ার দৃঢ় অঙ্গীকার নিয়ে ১৯৪৮ সালের ৭ মে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন যাত্রা শুরু করে। আইইবি এই দেশের প্রকৌশলীদের একমাত্র জাতীয় পেশাজীবী প্রতিষ্ঠান। সেই সঙ্গে প্রকৌশলীদের প্রাচীনতম প্রতিষ্ঠানও বটে। ১৯৪৮-এ পাকিস্তান সৃষ্টির পর আইইবি-ই একমাত্র জাতীয় প্রতিষ্ঠান, যার সদর দফতর বাংলাদেশে অর্থাৎ তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথম কাউন্সিল সভা অনুষ্ঠিত হয় ২৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ (বিজয়ের মাত্র ১০ দিনের মধ্যে), সেই সভাতেই ‘ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ার্স পাকিস্তান’ নাম পরিবর্তিত হয়ে ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ নামকরণ করা হয়। আইইবি প্রকৌশলীদের গর্ব এবং অহংকার।কোভিড-১৯ ভাইরাসের কারণে এবছর সীমিত পরিসরে কিছু অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়া অনলাইনের মাধ্যমেও বেশ কিছু অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে। যেখানে দেশের প্রকৌশলীরা অংশগ্রহণ করবেন। আইইবি’র বিভিন্ন প্রকৌশল বিভাগ, কেন্দ্র-উপকেন্দ্র এবং ওভারসীস চ্যাপ্টারসমূহেও ‘ইঞ্জিনিয়ার্স ডে’-এর কর্মসূচি পর্যায়ক্রমে অনুষ্ঠিত হবে।আইইবি’র ৭৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে মহামান্য রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক পৃথক বানী দিয়েছেন। বানীতে তাঁরা আইইবি’র সকল প্রকৌশলীদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন এবং ৭৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সফলতা কামনা করেছেন। এ উপলক্ষে আইইবি’র সভাপতি প্রকৌশলী মো. নূরুল হুদা এবং সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মো. শাহাদাৎ হোসেন (শীবলু) বলেন, প্রকৌশল শিক্ষার মানোন্নয়ন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উৎকর্ষ সাধন, বিশ্বের নিত্য নতুন, আধুনিক প্রযুক্তির সাথে প্রকৌশলীদের পরিচয় করে দেয়া, বিদেশী প্রযুক্তিকে দেশোপযোগী করে প্রয়োগ, বিভিন্ন কারিগরি ইস্যু, উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সরকারকে পরামর্শ ও সিদ্ধান্ত প্রণয়নে সহযোগিতা করাসহ প্রকৌশলীদের মেধা ও সৃজনশীলতার বিকাশ সাধনে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন ৭৩ বছর যাবৎ অবিরাম প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছে। সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডকে এগিয়ে নিতে আইইবি সব সময় বদ্ধ পরিকর।