আপতকালীন জরুরি বিবেচনা এবং আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে পাটকলের শ্রমিকদের জন্য ১৬৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। তবে মজুরি কমিশনসহ অন্য ৮ দফা দাবি এখনও বাস্তবায়ন না হওয়ায় হতাশা বিরাজ করছে শ্রমিকদের মধ্যে।
সোমবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ থেকে এ বরাদ্দ দেয়া হয়। তবে এ অর্থ শ্রমিকদের অ্যাকাউন্টে চেকের মাধ্যমে দিতে হবে বলেও শর্ত আরোপ করে দেয়া হয়েছে। বকেয়া বেতন, মজুরি ও উৎসব ভাতার দাবিতে খুলনাসহ দেশের বিভিন্নস্থানে পাটকল শ্রমিকেরা আন্দোলন করে আসছিলেন।
৫ মে বিকেল থেকে খুলনা-যশোর অঞ্চলের নয়টি পাটকলে কর্মবিরতি শুরু হয়। এরপর ১৩ মে থেকে সারা দেশের ২৬টি রাষ্ট্রায়ত্ব পাটকলে এ কর্মবিরতি ছড়িয়ে পড়ে। এর পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার এ বরাদ্দ এলো।
পাটকল শ্রমিক লীগের খুলনা ও যশোর অঞ্চলের আহ্বায়ক মুরাদ হোসেন বিকেল বলেন, পাটকলের শ্রমিকদের জন্য জরুরি বিবেচনায় ১৬৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। এ খবরে আমরা খুশি। দীর্ঘদিন থেকে না খাওয়া শ্রমিকরা এ খবর শুনে অনেক খুশি হয়েছেন। তবে নয় দফা দাবি আদায়ের জন্য শ্রমিকরা যে আন্দোলন করছিলেন তার মধ্যে কেবল একটি দাবি পূরণ হয়েছে। আমরা মজুরি কমিশনসহ বাকি ৮ দফা দাবি পূরণ না হওয়া হতাশ হয়েছি।
শ্রমিকদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, সবার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট আছে। এর আগে ২১ মে তিনটি শর্তে পাটকল শ্রমিকদের চলমান আন্দোলন এক সপ্তাহের জন্য স্থগিত করা হয়। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ছয়টা থেকে শ্রমিকরা কাজে যোগদান করেন। খুলনার জেলা প্রশাসন, বিজেএমসি ও শ্রমিকদের ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে টানা ১৫ দিনের আন্দোলন স্থগিত করা হয়।